জয়ের জন্য ২১১ রানের বড় লক্ষ্য নিয়ে খেলতে নেমে মাত্র ২২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে শুরুতেই পথ হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই বিদায় নিলেন ওপেনার সৌম্য সরকার। চার বল মোকাবেলা করলেও রানের খাতা খুলার আগেই ফিরে গেছেন সৌম্য সরকার। দলীয় ৮ রানে আকিলা ধনঞ্জয়ার বলে কুশল মেন্ডিসের হাতে ধরা পড়েন তিনি। পরের ওভারেই দলীয় ১৪ রানে ফিরেন মুশফিকুর রহিম। তাকে অনুসরণ করেন মোহাম্মদ মিঠুন। ছয় ওভারের খেলা শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ তিন উইকেটে ৪০ রান।
এর আগে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ওভার শেষে চার উইকেটে ২১০ রান করে শ্রীলঙ্কা। ব্যাটিংয়ে নেমে লঙ্কানদের দুর্দান্ত সূচনা এনে দেন দুই ওপেনার কুশল মেন্ডিস ও দানুস্কা গুনাথিলাকা। এই দুজন ওপেনিংয়ে ৯৮ রানের জুটি গড়েন।
এ সময় সৌম্য সরকারের বলে ওপেনার গুনাথিলাকা আউট হন। তিনি ৩৭ বল থেকে করেন ৪২ রান। এরপর থিসারা পেরেরাকে নিয়ে সামনে চলতে থাকেন কুশল মেন্ডিস। দলীয় ১৪৯ রানে ওয়ানডাউনে নামা থিসারা পেরেরার উইকেট পান এই ম্যাচে অভিষিক্ত হওয়া বোলার আবু জায়েদ চৌধুরী। আউট হওয়ার আগে তিনি ১৭ বল থেকে করেছেন ৩১ রান।
এরপর শ্রীলঙ্কার ইনিংসের মূল কারিগর কুশল মেন্ডিসকে শেষ পর্যন্ত সাজঘরে পাঠান কাটার মাস্টার মুস্তাফিজুর রহমান। ১৭তম ওভারের তৃতীয় বলে মেহেদি হাসানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তবে আউট হওয়ার আগেই মেন্ডিস ৭০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন। ৪২ বল থেকে ছয়টি চার ও তিনটি ছক্কার মারে এ রান করেন তিনি। বাকি সময়ে উপুল থারাঙ্গার উইকেট সাইফ উদ্দিন নিতে সক্ষম হলেও লঙ্কানদের বড় স্কোর আটকাতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে চার উইকেটে ২১০ রান করে শ্রীলঙ্কা।
গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে ছয় উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে সফরকারীরা। সিরিজে হার এড়াতে হলে বাংলাদেশকে অবশ্যই এই ম্যাচে জিততে হবে।