নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় এখন চলছে ইরি-বোরো আবাদ। কিন্তু অধিকাংশ খালে পলি জমে নাব্য সংকটে রয়েছে। ফলে উপজেলায় বোরো আবাদ ব্যাহত হচ্ছে।
বোরহানউদ্দিন উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায, চলতি বোরো মৌসুমে উপজেলার ৭ হাজার ২ শত হেক্টর জমিতে বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। যার বিপরীতে ৪৮৩ হেক্টর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। যার মধ্যে উচ্চফলনশীল ৪২০ হেক্টর, হাইব্রিড ৩ হেক্টর এবং স্থানীয় জাতের ৬০ হেক্টর।
উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে সাচড়া, কাচিয়া, দেউলা, পক্ষিয়া, কুতুবা ও বড় মানিকা ইউনিয়নের ১৪টি খালের দৈর্ঘ্য ৮৪.৭৫ কিলোমিটার। যার মধ্যে খনন যোগ্য দৈর্ঘ্য হচ্ছে ৬৮.৭৫ কিলোমিটার। সাচড়া ইউনিয়নের দেউলা সাচড়া সংযোগ খাল (৪.৫কিঃমিঃ), কাচিয়া ইউনিয়নের তারা বান্দ খাল (২.৫ কিঃমিঃ) কাচিয়া চকডোষ এলাকার মুচির খাল (৭কিঃমিঃ), গুড়িবা খাল (১.৫কিঃমিঃ), দেউলা ইউনিয়নের সবুজ খাল (১০কিঃমিঃ), পক্ষিয়া ইউনিয়নের নয়ামিয়া খাল (৪কিঃমিঃ), মধুমতির খাল (৮কিঃমিঃ)। বাকি ৭টি খালের দুই-তৃতীয়াংশ নাব্য সংকটে হারিয়ে গেছে।
দেউলা ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাছির খান বলেন, তালুকদার বাড়ি থেকে মোল্লা বাড়ি পর্যন্ত ছেনির খাল খনন হলে তার ইউনিয়েন আরও ১০০ একর জমির বোরো আবাদ বেশি হতো। গংগাপুর ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ফিরোজ আলম, পক্ষিয়া ইউনিয়নের খায়রুল আলম মুন্সি, কুতুবা ইউনিয়নের বিশ্বজিৎ দে, কাচিয়া ইউনিয়নের কার্তিক চন্দ্র মজুমদার, টবগী ইউনিয়নের মমিন ভুঁইয়া জানান, এখানকার বোরো আবাদের পরিমাণ বাড়াতে হলে সবার আগে ওই সমস্ত খালগুলো খননা করা উচিৎ।
ভোলা বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী (সেচ) সিরাজুল ইসলাম জানান, বোরহানউদ্দিনে অনেক খাল খননের প্রয়োজন। খালের দু পাশে গাছ থাকার ভেকু দিয়ে খনন করা যায় না। গাছ কাটতে গেলে জনগণের বাধার সস্মুখিন হতে হয়। অনেকে আবার মামলা করে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. ওমর ফারুক জানান, মূল খালের গোড়া থেকে শাখা খাল সমূহে পানি প্রবাহ ঠিক রাখার জন্য সাময়িকভাবে বাধ দিয়ে সেচ দেয়া কিংবা রাবার ড্রেম দেয়া যেতে পারে।তবে শাখা খাল সমূহের মধ্যে অবস্থিত স্কিম ম্যানেজাররা সুবিদামতো সময়ে পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ করতে পারবে। এতে করে ২০-২৫ ভাগ আবাদের মাত্রা বৃদ্ধি পাবে।