সারা বিশ্বে তথ্যপ্রযুক্তিতে নেতৃত্ব দেবে বাংলাদেশ এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আমরা এখন বলতে পারি বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যান্য দেশের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তিতে প্রতিযোগিতা করে শুধু টিকে থাকার জায়গায় বসে নেই। আমরা নেতৃত্ব দেবার জায়গায় এসেছি।
বুধবার দুপুরে এলিফ্যান্ট রোডের কম্পিউটার সিটি সেন্টারে (মাল্টিপ্ল্যান সেন্টার) পাঁচ দিনব্যাপী দেশের বৃহৎ ডিজিটাল আইসিটি ফেয়ার ২০১৮ এর উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশ প্রকৃত অর্থে প্রায় বিদেশিদের তৈরি সফটওয়্যার দিয়ে চলতো সেই বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো এখন কি করে তার দৃষ্টান্ত আমি দেবো। বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান আছে যারা আমেরিকার ডাক্তারদের জন্য কাজ করে। এটি অগমেডিক্স নামের একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি প্রবাসী বাঙালি তৈরি করেছেন। অগমেডেক্সি আমেরিকার সাত হাজার ডাক্তারদের রোগীদের সঙ্গে যে কথোপকথন হয়েছে সেটা বাংলাদেশে বসে থেকে রূপান্তর করে দেয়। বাংলাদেশ থেকেই গুগল গ্লাসের জন্য সফটওয়্যার তৈরি করেছে। ৫২ জন ইঞ্জিনিয়ার বাংলাদেশে বসে এটি তৈরি করেছে।
‘আপনারা জানলে নিশ্চয়ই অবাক হবেন বাংলাদেশে তৈরি একটি অ্যান্টিভাইরাস থাইল্যান্ডের পুলিশ ব্যবহার করে। বিশ্বের কমপক্ষে ১৮টি মোবাইল ফোন অপারেটর বাংলাদেশের তৈরি বিলিং সফটওয়্যার ব্যবহার করে।’ যোগ করেন মোস্তাফা জব্বার।
বিশ্বের সফটওয়্যারের বাজারের বড় একটা অংশ বাংলাদেশ দখল করে আছে উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বাংলাদেশের ইঞ্জিনিয়াররা জাপানের ১০ হাজার ফ্লাটবাড়িতে আইওটি সলিউশন প্রভাইড করছে। ঢাকায় বসে থেকে টোকিওর সেসব ফ্লাট-বাড়ি নিয়ন্ত্রণ করে আমাদের দেশের ছেলেরা। এই সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘২০০৯-১০ সালে সরকারের আইসিটি ডিভিশনের বাজেট ছিল মাত্র ১৭৪ কোটি টাকা। আজকে সেই মন্ত্রণালয়ের বাজেট চার হাজার কোটি টাকার বেশি। অন্যদিকে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাজেট বর্তমানে ডিজিটাল বাংলাদেশের বাজেট ১১ হাজার কোটি টাকা।’
অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন মুক্তিযুদ্ধকালীন ঢাকা জেলা কমান্ডার ও সাবেক সাংসদ এবং বৃহত্তর এলিফ্যান্ট রোড দোকান মালিক সমিতির প্রধান উপদেষ্টা জনাব মোস্তফা মহসীন মন্টু।
মেলার আহ্বায়ক ও কম্পিউটার সিটি সেন্টারের সভাপতি তৌফিক এহেসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, শিক্ষাবিদ ও ইউনিভার্সিটি এশিয়া প্যাসিফিক এর উপাচার্য অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী, এফবিসিসিআই এর সভাপতি মো. শফিউল ইসলাম , ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির সভাপতি আলী আশফাক, ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের ১৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর জসীম উদ্দিন আহমেদসহ অন্যান্যরা।