পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের দৌলতাবাদে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ৭০ ফুট গভীর নদীতে পড়ে গিয়েছে। ৬০-৭০ জন যাত্রী বাসটিতে ছিল বলে খবরে প্রকাশ।১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের মধ্যেও একজনের মৃত্যু হয় পরে। তোলা হয়েছে আরও দুজনের মৃতদেহ। মৃতের সংখ্যা অনেকটাই বাড়বে বলে আশঙ্কা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বাসটি করিমপুর থেকে মালদহ যাচ্ছিল। সকাল সাতটা ১০ মিনিট নাগাদ, দৌলতাবাদে বালিরঘাট সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময়ে রেলিং ভেঙে সোনার রত্নাকর নদীতে পড়ে সম্পূর্ণ ডুবে যায় বাসটি।
স্থানীয় লোকজন ১০ জনকে উদ্ধার করেন। তার মধ্যে সাতজন পুরুষ এবং তিনজন মহিলা। এদের মধ্যে একজন বৃদ্ধা পাড়ে ওঠার পরপরই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। বাসটি বহরমপুর পৌরসভা পরিচালিত বলে জানা গিয়েছে।
এ দিকে, দুর্ঘটনার বেশ কিছু ক্ষণ পরে সরকারি উদ্ধার কাজ শুরু হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশের দুটি গাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।
আগুন নেভানোর জন্য দমকল এলে ইঁট-পাটকেল ছুঁড়ে বাধা দেয়। পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে ছত্রভঙ্গ করতে শূন্য বেশ কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায়।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা