মোঃএমরুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি,নরসিংদীঃ
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার দোসরদের গুলিতে হত্যার বিচার দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন শাওনের পরিবার।
শনিবার(৫ অক্টোবর) নরসিংদী জেলা বিএনপির কার্যালয়ে শাওনের বড় ভাই অলিউল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন,
নরসিংদীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ২৪ জন নিহত হয়েছে। এর মধ্যে আমার ভাই শাওন অন্যতম। আমার আপন ভাই মোঃ
শাওন মিয়া, পিতাঃ মৃত- মুজিবুর রহমান মাধবদী থানার আলগী মনোহরপুর এর বাসিন্দা মাধবদী পৌর ছাত্রদল কর্মী
ছিল। গত ১৮/০৭/২০২৪ ইং তারিখে সারাদেশব্যাপী কোটা সংস্কার ও বৈষম্য বিরোধী আন্দোলন শুরু হয়েছিল।
আন্দোলনকারীদের সাথে একাগ্রতা পোষণ করে গত ১৯/০৭/২০১৪ ইং তারিখ দুপুর থেকে মাধবদী থানাধীন ঢাকা – সিলেট মহাসড়কের উপর শান্তিপূর্ণ সমাবেশ চলছিল। উক্ত শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আমি ও আমার আপন ভাই শাওন মিয়াসহ ছাত্র-জনতা, বিভিন্ন শ্রেনী পেশার হাজার হাজার সাধারণ মানুষ দাবী আদায়ের জন্য অংশগ্রহন
করে। এক পর্যায়ে সাধারণ মানুষসহ বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে এবং শান্তিপূর্ণ অবস্থান করে
আন্দোলন অব্যাহত রেখে আমাদের মিছিলটি ঢাকা সিলেট মহাসড়ক থেকে মাধবদী কলেজ রোড সোনালী টাওয়ারের
নিচে পৌঁছালে টাওয়ারের নিচে ওৎ পেতে থাকা শেখ হাসিনার দোসররা আমাদের উদ্দেশ্যে গুলি ছুড়তে থাকলে একটি গুলি এসে আমার ভাই শাওন মিয়ার কপালে বিদ্ধ হলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং ঘটনাস্থলেই মৃত্যু বরণ করে।
স্বৈরাচার সরকারের পতনের পর আমি আমার ভাইয়ের হত্যাকান্ডের বিচারের দাবীতে গত ০১/১০/২০২৪ ইং তারিখে মাধবদী থানায় শেখ হাসিনা ও তার দোসরদের আসামী করে একটি মামলা দায়ের করি। আমার ভাই নিহত হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় বিএনপি, নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক- খাইরুল কবীর খোকন,সদস্য সচিব- মনজুর এলাহী, নরসিংদী জেলা ছাত্রদল সভাপতি- সিদ্দিকুর রহমান নাহিদ, সাধারণ সম্পাদক- মেহেদী
হাসান রিফাত সহ বিএনপি ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের সহযোগিতার জন্য আমি আমার পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা
প্রকাশ করছি। আমি আমার ভাইসহ সকল শহীদদের হত্যাকারীদের ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার স্বার্থে প্রশাসন,
রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক,আইনজীবী সহ সর্বস্তরের জনগনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।