এইচ এম মেহেদী, কুড়িগ্রাম :
নিখোঁজ যুবকের নাম সোহান (২২)। সে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ পৌরসভার সারাই জুম্মাপাড়া এলাকার রাজা মিয়ার পুত্র বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শী বন্দর এলাকার মাজু ইব্রাহিম জানান, শুক্রবার (৪অক্টোবর) মাগরিবের সময় টিপটিপ বৃষ্টি পরছে এমন সময় ৫টি হোন্ডায় ১০ জন যুবক নদী বন্দর এলাকায় ঘুরতে আসে। এসময় একজন গোসল করতে নামে এরপর আর তাকে পাওয়া যায়নি।
সাথে থাকা তুহিন আরাফাত (২৮) জানান, আমার বাসা নোয়াখালী। আমি দীর্ঘদিন থেকে হারাগাছ এলাকায় চাকুরী করার সুবাদে স্থানীয়দের সাথে সক্ষ্যতা গড়ে ওঠে। এরই ধারাবাহিকতায় একই এলাকার ছোট বড় ভাইয়েরা মিলে রাজারহাটের একটি হোটেলে হাঁস খাওয়ার উদ্দেশ্যে চলে আসি। হাঁস না খেয়ে প্রথমে উলিপুরে এসে সবাই ওখানকার বিখ্যাত মিষ্টান্ন ক্ষির মোহন খাওয়া শেষে চিলমারী নৌ-বন্দরে দেখতে সবাই চলে আসি। তখন সোহান নদীতে গোসল করতে চাইলে আমরা সবাই তাকে নিশেধ করলেও তা সে না মেনে নদীতে লাফ মারে এবং ওখানে থাকা একটি বাল্কহেড অতিক্রম করে ১৭-১৮ ফিট দুরে চলে যায়। এসময় স্থানীয় এক শিশু তাকে তোলার জন্য বাঁশ ফেলায় দিলে তা ধরতে পারেনি সোহান। এরপর থেকে আর তাকে পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর স্থানীয়রা উপস্থিত হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে।
সাথে থাকা অন্যান্যরা হলো একই এলাকার মমিনুল (২৫), রিয়াদ (২২), শিহাব (২১), চয়ন (২২), মাহি (২০), রাকিব (২২), আদর (১৯), মেহরাব (২২)।
চিলমারী ফাঁয়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাব স্টেশন অফিসার নারায়ণ চন্দ্র বর্মন জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখানে ডুবুরি না থাকায় উদ্ধার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। আমরা আমাদের অফিসারদের অবহিত করেছি। রংপুর থেকে সকালে ডুবুরি এখাবে আসবে। আসা মাত্রই উদ্ধার কাজ শুরু হবে।
চিলমারী নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত স্টেশন ইনচার্জ এসআই ফেরদৌস আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বৈরী আবহাওয়া ও ডুবুরি না থাকায় উদ্ধার কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। সকালে ডুবুরি আসলে উদ্ধার কাজ শুরু হবে।