কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ১৮ মাসের ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট (ভিডব্লিউবি)’র বরাদ্দের চাল ফেরত চেয়ে ইউএনও অফিসে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী এক নারী। ওই নারীর নামে ইস্যু হওয়া কার্ডের কথা ১৮ মাস পর জেনেছেন তিনি। ততদিনে বিগত ১৮ মাসের চাল উত্তোলন হয়েছে কার্ডধারীর অজান্তে।
লিখিত অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নঈম উদ্দিন। তিনি জানান, এতদিন কার্ডটি কার কাছে ছিলো সেটির খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভুক্তভোগী ওই নারীর নাম সাবানা খাতুন৷ তিনি উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের হাটিথানা পুটিমারী এলাকার ফাইদুল ইসলামের স্ত্রী। কার্ড নম্বর- ৩৩৪।
লিখিত অভিযোগ ও সাবানা খাতুনের সঙে কথা বলে জানা গেছে, কার্ডটি করার জন্য প্রথমত সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আদুরী আক্তারের স্বামী বিজু মিয়াকে ৫ হাজার টাকা দিয়েছিলেন সাবানা। কিন্তু এর পর বিজু বলেছেন কার্ড হয়নি। পরে বিভিন্ন সময় টাকা ফেরত চাইলে তিনি বলেন যেভাবে হউক একটি কার্ড দেবে। পরে ১৮ মাস পরে জানতে পারেন সাবানার নামে ভিডব্লিউবি’র কার্ড ইস্যু হয়েছে। কিন্তু এই ১৮ মাসের চাল তার নামে কেউ টিপশই দিয়ে তুলে নিয়েছেন ততদিনে।
সাবানা খাতুন কার্ড সম্পর্কে অবগত হওয়ার পর সম্প্রতি দুই মাসের চাল তুলতে পেয়েছেন। তবে তার দাবী বিগত ১৮ মাসের চাল ফেরত দিতে হবে।
ভুক্তভোগী সাবানার জানান, বিজুর কাছে কার্ড সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন সাবানা নামের দুই টা কার্ড পাশ হইছে। কিন্তু চেয়ারম্যানের সাথে ঝামেলা হওয়ায় কার্ডদুইটি আটকে রাখছে। পরে বিজু মিয়া আমাকে ১৮ মাস পর কার্ড ফেরত দিয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের স্বামী বিজু মিয়াকে ফোন দিলে তিনি বলেন আমি মিটিংয়ে আছি পরে কথা বলি।
থানাহাট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মিলন বলেন, উনি (সাবানা) যে ১৮ মাস থেকে চাল পায়নি এ নিয়ে আমাকে তো কখনো অভিযোগ দেয় নি। আর উনি কিভাবে কার কাছে কার্ড পেলো সেটি জানা দরকার বলে প্রশ্ন রাখেন এ প্রতিবেদকের নিকট।