এস আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি :
টাঙ্গাইল সদরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সোশ্যাল ইনভেস্টমেন্ট থ্রু ইউনিটির (সেতু) এই প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব ভবন সেতু টাওয়ারের ভিতরে একদিন যে এনজিও কর্মীকে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে, নিহত এনজিও কর্মীর নাম মোঃ হাসান, তার বয়স আনুমানিক ৩০ বছর, নিহত হাসানের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পটিয়া গ্রামে, তিনি সেতুর জামালপুর শাখা কর্মরত ছিলেন। হাসানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত হাসানের পরিবারের সাথে সেতু কর্তৃপক্ষের সাথে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলছিল ।
জানা গেছে প্রাতিষ্ঠানিক এবং ব্যক্তিগত বিরোধের যে ধরে গত ১৮ সেপ্টেম্বর হাসানকে এক প্রকার জোর করেই এই মেইন অফিসে নিয়ে আসেন, এই দিন রাতেই নির্বাহী পরিচালক মির্জা মোঃ শাহাদাত হোসেনের নির্দেশেই অন্য কর্মীরা হাসানকে বেদম মারধোর করেন, একপর্যায়ে হাসানের পরিবারকে খবর দিলে, হাসানের মা সহ পরিবারের লোকজন সেতু টাওয়ারে আছেন, কিন্তু কোন না কোন অজুহাতে হাসানের সাথে তাদের সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়নি, এবং হাসানের পরিবারের প্রশ্নের মুখে, হাসান কি অন্যায় করেছে সেটারও কোন উত্তর দেওয়া হয়নি। এমত অবস্থায় হাসানের পরিবার গ্রামে ফিরে যান, এ পর্যায়ে ২০ সেপ্টেম্বর টাঙ্গাইল থানা থেকে ডিউটি অফিসার হাসানের পরিবারকে ফোন দিয়ে থানায় আসতে বলেন, শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর হাসানের পরিবার থানায় এসে জানতে পারেন হাসান ইন্তেকাল করেছেন এবং লাশ টাঙ্গাইল সদর হাসপাতালে মর্গে পড়ে আছেন, হাসানের মৃত্যু সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা সেতু টাওয়ারে গেলে তাদের ভিতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি, এবং কেউ কোন কথাও বলতেও রাজি হয়নি । নিহত হাসানের ছোট বোন জামাই অভিযোগ করেন, সেতুর নির্বাহী পরিচালক মির্জা শাহাদত হোসেনের নির্দেশে অন্যান্যকর্মীরা হাসানকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন, তিনি হাসানের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। নিহত হাসানের মা বলেন, এই এনজিও তে চাকরি করার সময় দুই একজন কর্মীর সাথে কিছু বিষয় নিয়ে মতবিরোধ ছাড়া, অন্য কারো সাথে কোন বিরোধ ছিল না হাসানের । সেতু কর্তৃপক্ষ হাসানকে জামালপুর অফিস থেকে উঠিয়ে এনে তিন রাত দুইদিন এই অফিসে আটকিয়ে রেখে পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন ।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ( ওসি ) তানভীর আহমেদ জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে ।