মোঃএমরুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি,নরসিংদী:
বুধবার(১১ সেপ্টেম্বর)নরসিংদীর মনোহরদীতে বিএনপির দু-গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় বাদীর দেওয়া মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে উপজেলার খিদিরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নূরুল হককে ৭ নং আসামী করে এজাহারভূক্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
বিএনপির স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা যায়,নূরুল হক একজন জিয়া আদর্শের সৈনিক,তিনি কোন দাঙ্গা-হাঙ্গামার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নয়। তিনি সুষ্ঠুধারার রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তিনি মনোহরদী থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত খিদিরপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। উনার পিতা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (অবঃ) শিক্ষক। তিনি নিজেও পেশায় একজন শিক্ষক। ঘটনার দিন তিনি মনোহরদীতে উপস্থিত ছিলেন না। তা ছাড়াও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া আমাদের মনোহরদীতে যাওয়া হয় না। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
এ ছাড়াও তিনি বিগত আওয়ামী সরকার দ্বারা নানাভাবে নির্যাতিত,নিগৃহীত হয়ে হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন,মিথ্যা ষড়যন্ত্র মূলক গায়েবী মামলায় তাকে কারাবরণও করতে হয়েছে একাধিকবার।পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আবারো ষড়যন্ত্রকারীদের গায়েবী মামলার শিকার হওয়ায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ,বিস্মিত এবং হতবাক।
এ ব্যাপারে মামলার ৭ নং এজাহারভুক্ত আসামী নূরুল হক সংবাদকর্মীদের জানান,গতকালকের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবহিত নই। ঘটনার পরে জানতে পারলাম মনোহরদীতে দু-গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছে।
পরবর্তীতে জানতে পারি বাদী মকবুল হোসেনের দায়ের করা মামলায় আমাকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ৭ নং এজাহারভূক্ত আসামী করা হয়েছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি।