সর্বশেষ সংবাদ
Home / জাতীয় / শীর্ষ কলাম: রূপপুর প্রকল্পে দুর্নীতি হয়নি: রোসাটম,শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেন এই অভিযোগ?
Oplus_0

শীর্ষ কলাম: রূপপুর প্রকল্পে দুর্নীতি হয়নি: রোসাটম,শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেন এই অভিযোগ?

শীর্ষ কলাম:

রূপপুর প্রকল্পে দুর্নীতি হয়নি: রোসাটম,শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কেন এই অভিযোগ?

সদরুল আইনঃ

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ (আরএনপিপি) প্রকল্পে কোনো দুর্নীতি হয়নি বলে দাবি করেছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটম।

রোসাট‌মের বরাত দি‌য়ে বুধবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দা‌বি করা হ‌য়।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০০ কোটি ডলারের বেশি আত্মসাৎ করেন বলে গত ১৭ আগস্ট প্রকাশিত গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা-রোসাট্রম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়। যাতে মধ্যস্ততা করেন ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।

গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রতিবেদনের পরই বাংলাদেশের গণমাধ্যমে এই সংবাদ প্রকাশিত হয়।

এমন সংবাদ প্রকাশের প্রেক্ষিতে আজ রোসাট‌মের বরাত দি‌য়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আমাদের নজরে এসেছে যে রূপপুর এনপিপি প্রকল্পে দুর্নীতি বিষয়ে কিছু বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা তথ্য বাংলাদেশের মিডিয়ায় প্রচারিত হচ্ছে।

যদিও এই ভিত্তিহীন বিবৃতিগুলোকে খণ্ডন করার জন্য রোসাটম স্টেট করপোরেশন দুটি প্রেস রিলিজ দিয়েছে।এই বিষয়ে আরও অযৌক্তিক জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাতে রাশিয়ান রপ্তানি ক্রেডিট ব্যবহারের পদ্ধতি এবং রূপপুর এনপিপি নির্মাণে ইতোমধ্যে ব্যয় করা অর্থের পরিমাণ স্পষ্ট করা প্রয়োজন বলে মনে হয়।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৪ সালের ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রূপপুর এনপিপি প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য রাশিয়া কর্তৃক প্রদত্ত এক হাজার ১৯০ কোটি মার্কিন ডলার পরিমাণের রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণ (স্টেট এক্সপোর্ট ক্রেডিট) থেকে মোট ৭৮০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যবহৃত হয়েছে।দুটি পৃথক চুক্তির অধীনে এ দুটি ঋণ দেওয়া হয়। এর মধ্যে ২০১৩ সালের ১৫ জানুয়ারি প্রথম চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত ৪৯.১৩ কোটি মার্কিন ডলার (এই ঋণের মোট পরিমাণ ৫০ কোটি মার্কিন ডলার পর্যন্ত এবং এর ব্যবহারের মেয়াদ ২০১৭ সালে শেষ হয়ে গিয়েছে), আর ২০১৬ সালের ২৬ জুলাই দ্বিতীয় চুক্তির অধীনে ব্যবহৃত ৭৩৩ কোটি ১৮ লাখ মার্কিন ডলার।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বিতীয় রপ্তানি ঋণের পুরো পরিমাণ হলো এক হাজার ১৩৮ কোটি মার্কিন ডলার, যা থেকে এখন পর্যন্ত ৬৪ শতাংশ ব্যবহৃত হয়েছে এবং এই ঋণের ব্যবহারের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরে।

এতে বলা হয়, রূপপুর এনপিপি প্রকল্পে যে, কোনো দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে না তার প্রমাণ হলো রাশিয়ান ফেডারেশনের আইন অনুযায়ী কোনো রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণের প্রদানে সার্বভৌম ঋণগ্রহীতার কাছে সরাসরি টাকা স্থানান্তর করা হয় না। রপ্তানি চুক্তির অধীনে বিদেশি গ্রাহককে প্রদত্ত যেকোনো পণ্য, কাজ বা পরিষেবাগুলোর অর্থায়ন রাশিয়ান রুবলে রাশিয়ান অর্থ মন্ত্রণালয় রাশিয়ান রপ্তানিকারক সংস্থাকে সরাসরি দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাশিয়ান অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রদত্ত নথি অনুযায়ী এই লেনদেনগুলো করা হয় এবং পূর্বে আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলোর ওপর বিশেষায়িত বৈধ এজেন্ট (VEB.RF, Vnesheconombank) দ্বারা সেই নথিগুলো অনুমোদিত হয়। রাষ্ট্রীয় রপ্তানি ঋণের ব্যবহৃত পরিমাণ রাশিয়ান ফেডারেশনের প্রতি বিদেশি রাষ্ট্র ঋণগ্রহীতার ঋণ হিসেবে বিবেচিত হয়।

এতে আরও বলা হয়, যারা রূপপুর এনপিপিতে দুর্নীতি বিষয়ে ভুয়া খবর লিখে ছড়িয়ে দেয়, তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এই উচ্চাভিলাষী প্রকল্পটিকে কলঙ্কিত করতে চায় এবং মস্কো ও ঢাকার মধ্যে স্থিতিশীল সম্পর্ককে নষ্ট করার চেষ্টা করছে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যেহেতু রুপপুর প্রকল্পে দূর্নীতি হয়নি তাহলে কোন উদ্দেশে, কার নির্দেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ আনা হল? এর পেছনে উদ্দেশ্যই বা কি? কেন মননগড়া ভিত্তিহীন অভিযোগে বঙ্গবন্ধু পরিবারকে অভিযুক্ত করা হল? এ সবই কি রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নে কোন বিশেষ পরিকল্পনা নিয়ে করা হচ্ছে?

সঙ্গত কারনেই প্রশ্ন উঠে আসছে যে, একটি বড় প্রকল্পে কেন বঙ্গবন্ধু পরিবারকে জড়ানো হল, এর পেছনেই বা কে? কোন মিশন বাস্তবায়ন করতে এ অভিযোগ তুলে অন্তর্বর্তী সরকারকে খাট করা হল?

সময় এর সদুত্তোর দেবে একদিন।তবে এ ধরনের বানোয়াট কল্পকাহিনি যারা প্রচার করেছে তারা নি:সন্দেহে বর্তমান সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।বিতর্কিত করেছে,যা কাঙ্খিত ছিল না।

About shakhawat khan

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ আজ : আলোচনায় সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ

  সদরুল আইন: অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের ...