মিঠাপুকুর(রংপুর) প্রতিনিধি:
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় ক্রমেই হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাঁশ শিল্প। প্রাচীনকালে এক সময় পল্লী গ্রাম গুলোতে গৃহস্থলী কাজে বাঁশ ও বেতের তৈরি আসবাবপত্রে ব্যাপক ব্যবহার থাকলেও বর্তমানে আধুনিক সমাজে এর ব্যবহার একেবারেই কমে গেছে।
এ জন্য বাজারে বাঁশ ও বেতের আসবাব পত্রের চাহিদা না থাকায় হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী এই বাঁশ শিল্প। বাঁশ ও বেত শিল্পীরা জীবিকা নির্বাহের জন্য তাদের প্রাচীনকালের এই বাপ-দাদার আদিপেশা ছেড়ে দিয়ে এখন বর্তমানে নতুন পেশা গ্রহণ করছেন।
বর্তমানে এখনও যারা পূর্ব পুরুষের আদিপেশা আকড়ে ধরে আছেন তাদের জীবন চলে কোন রকম। গতকাল সোমবার রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুলহাপুর মাহালী সম্প্রদায়ের গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এই গ্রামে বেশ কয়েকটি পরিবার বাঁশ শিল্পের সাথে জড়িত থাকলেও এখন হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র পেশাটি আঁকড়ে ধরে আছেন।
বর্তমানে এখনও যারা পূর্ব পুরুষের আদিপেশা আকড়ে ধরে আছেন তাদের জীবন চলে কোন রকম। গতকাল সোমবার রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের দুলহাপুর মাহালী সম্প্রদায়ের গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, এই গ্রামে বেশ কয়েকটি পরিবার বাঁশ শিল্পের সাথে জড়িত থাকলেও এখন হাতে গোনা কয়েকজন মাত্র পেশাটি আঁকড়ে ধরে আছেন।
বাঁশ শিল্পী বিশ্রাম মুর্মু ও পুতুল মাহালী সহ আরো অনেকে জানান, আগে এই বাঁশ শিল্পের বেশি কদর ছিল, বাজারে বাঁশের তৈরি পন্যের বেচা কেনাও হত প্রচুর। এখন কেউ আর গৃহস্থলী কাজে বাঁশের জিনিস ব্যবহার করে না। এজন্য এই গ্রামের অনেক শিল্পীরা পূর্ব পুরুষের আদিপেশা ছেড়ে বিভিন্ন কাজে চলে গেলেও এখনো কয়েকজন মাত্র আঁকড়ে ধরে আছেন।পুতুল মাহালী বলেন, এখন বাঁশের মূল্য অনেক বেশি হলেও বাঁশের তৈরি ডালি,কুলা, চাইলোনা,ঝুড়ি সহ বিভিন্ন জিনিস পত্রের মূল্য নেই।
বর্তমানে এখন বাজারে প্লাষ্টিক জিনিসপত্র পাওয়া যায়। প্লাস্টিকের দাম কম এর চাহিদা বেশি। বাঁশের তৈরি তেজষপত্রে স্থান দখল করছে প্লাস্টিকের তৈরি জিনিসপত্র। এই পেশা থেকে জীবিকা নির্বাহ করার দুঃসাধ্য হয়ে পড়েছে। আবার কয়েক জন আদি পুরুষের এই শিল্পীটি বেশ আয়ত্ত্ব করেছেন । কিন্তু সমাজে এই শিল্পীর কদর না থাকায় হতাশার কথা জানান। এই বাঁশ শিল্পকে টিকে থাকতে হলে,সরকারী, বেসরকারি ও বিভিন্ন এনজিও’ র সহযোগিতা প্রয়োজন।