এস আলম, টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার পাথরাইল বহুমূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দ্বীনবন্ধু প্রামাণিক এবং বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড়মনির অপসারণ ও বিচার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, এলাকাবাসী এবং বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা।
১৮ আগস্ট রবিবার সকালে স্থানীয় ইসকন মন্দির থেকে শুরু হয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয় বিক্ষোভ মিছিল।
সেখানে মানববন্ধন এবং প্রধান শিক্ষকের কার্যালয় ঘেরাও কর্মসূচি পালিত হয়।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোস্তফা আব্দুল্লাহ্ আল নূর, দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম, ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে যথাযথ নিয়ম কানুন অনুসরনের মাধ্যমে বরখাস্তের আশ্বাস দিয়ে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেন।
এ বিষয়ে আন্দোলনকারীরা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, প্রধান শিক্ষক দীন বন্ধু প্রামানিক একজন দলবাজ, চরিত্রহীন, লম্পট। তার কাছে ছাত্রীরা নিরাপদ নন।
তিনি সন্ত্রাসী এবং দলীয় ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে
এবং তিনি নিজের নিয়োগ এর লিখিত এবং মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্ন নিজেই তৈরি করে দীর্ঘদিন অবৈধভাবে প্রধান শিক্ষক হিসেবে রয়ে গেছেন।
যার প্রমাণ তাদের হাতে রয়েছে। তিনি ধর্মীয় শিক্ষক থেকে সরাসরি প্রধান শিক্ষক হয়ে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন। এই শিক্ষক
পরকীয়ায় আসক্ত এক নারীকে বিয়ে করতে তিনি হিন্দু থেকে মুসলিম হয়ে, দীন ইসলাম নাম ধারণ করেন।
গোপনে বিয়ের পর ওই নারীর লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে ভয়-ভীতি দেখিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীরা দাবি করেন, তিনি মুসলিম থেকে আবার হিন্দু হয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায় ভীষণ ক্ষুব্ধ।
জানা গেছে, ভূক্তভোগী নারী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছেন।
কিন্তু জেলা পর্যায়ের চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের ব্যবহার করে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই মামলার কার্যক্রম বন্ধ করিয়ে দিয়েছেন।
অভিযোগ করা হয়েছে, শীর্ষস্থানীয় সন্ত্রাসী এবং ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত, অর্ধ শিক্ষিত নারী লিপ্সুকে প্রধান শিক্ষক নিজের অপকর্ম হাসিলের জন্য পরিচালনা কমিটির সভাপতি করেছিলেন, যিনি ‘বড় মনি’ নামে কুখ্যাত।
এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টদের বক্তব্য –
বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে তিনি অবৈধ কর্মকান্ড, প্রতারনা অনিয়ম দুর্নীতিতে ডুবে একটি সনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছেন বলে দাবি পাথরাইল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ খানের।
অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রধান শিক্ষক দ্বীনবন্ধু প্রামানিকের মোঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, যেহেতু বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটি নেই সেহেতু প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা জটিল।
তবে নিয়মতান্ত্রীকভাবে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে