সর্বশেষ সংবাদ
Home / জাতীয় / শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে রাতভর উত্তাল ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর
Oplus_0

শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে রাতভর উত্তাল ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা সপ্তাহব্যাপী ‘রেজিস্ট্যান্স উইক’ কর্মসূচির দ্বিতীয় দিনে গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) দিনগত রাতে হাজার হাজার ছাত্র-জনতা ধানমণ্ডি ৩২ নম্বর রোডে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেছেন।

তারা ভারতে পলাতক শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে গণহত্যার দায়ে দ্রুত ফাঁসি দেওয়ারও দাবি জানায়।

ধানমণ্ডি নিউ মডেল কলেজ ও রাসেল স্কয়ারের সামনে তখন হাজার হাজার মানুষ অবস্থান নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে।

সেখান থেকে সরাসরি সম্প্রচারও করে বিভিন্ন গণমাধ্যম। বিক্ষোভের সময় লাউড স্পিকারে বিভিন্ন কণ্ঠশিল্পী স্বৈরাচার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদী গান পরিবেশন করেন।

এর আগে বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। এখান থেকে দেশবাসীকে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য সৃষ্টির বিষয়ে সতর্ক থাকারও আহ্বান জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্রআন্দোলনের সমন্বয়কেরা।

তারা বলেন, আওয়ামী লীগের যেকোনো ষড়যন্ত্রের মোকাবিলা করতে প্রস্তুত রয়েছে ছাত্র সমাজসহ দেশের জনগণ। যেকোনোভাবে তাদের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা রক্ষা করতে প্রস্তুত তারা।

সন্ধ্যায় ছাত্র ও জনতা শেখ হাসিনার নির্দেশে করা গুলিতে নিহতদের স্মরণে শাহবাগ থেকে রাপা প্লাজা অভিমুখে পদযাত্রা, মোমবাতি প্রজ্বালন ও নিহত হওয়ার ঘটনাস্থলে এক মিনিট নীরবতা পালন করে দোয়া করা হয়।

শাহবাগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আবু বাকের মজুমদার বলেন, ‘অধিকার আদায়ে আমরা সব সময় রাজপথে থাকব।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘গণ-অভ্যুত্থান করেছি, এবার সেই গণ-অভ্যুত্থান রক্ষা করতে আমরা সবাই জড়ো হয়েছি। এখন থেকে রাজপথ শুধু আমাদের দখলে থাকবে।’

এ সময় পূর্ব ঘোষিত চার দফা দাবির কথাও জানানো হয়। সেগুলো হলো:

১. ফ্যাসিবাদী কাঠামোকে ব্যবহার করে ফ্যাসিস্ট হাসিনা এবং তার দল ও সরকার‍ যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে, সেগুলোর দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে বিশেষ ট্রাইব্যুনাল গঠন করতে হবে।

২. সংখ্যালঘুদের ওপর আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী মহাজোটের শরিক দলগুলোর পরিকল্পিত হত্যা, ডাকাতি ও লুণ্ঠনের মাধ্যমে গণ-অভ্যুত্থানকে বিতর্কিত করার প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং সংখ্যালঘুদের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।

৩. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হামলা, মামলা এবং হত্যাযজ্ঞকে বৈধতা দিয়েছে এবং ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা বারংবার কায়েমের চেষ্টা করছে, তাদের দ্রুততম সময়ে অপসারণ এবং নতুন সরকারে তাদের নিয়োগ বাতিল করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

৪. প্রশাসন ও বিচার বিভাগে যারা এতদিন বৈষম্যের শিকার হয়েছে, তাদের জন্য দ্রুততম সময়ে সুযোগের সমতা নিশ্চিত করতে হবে।

 

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ আজ : আলোচনায় সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ

  সদরুল আইন: অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের ...