মোঃএমরুল ইসলাম,জেলা প্রতিনিধি,নরসিংদীঃ
নরসিংদী সদর উপজেলার আলোকবালীতে ধারাবাহিক ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও ডাকাতি বন্ধ করতে রাতের বেলা নিরাপত্তা জোরদার করতে নাইট গার্ডের দায়িত্ব পালন করছেন বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দোলনের সাথে জড়িত শিক্ষার্থীরা।
চলমান সহিংসতা কমিয়ে আনতে তারা হাতে লাঠি, টর্চ লাইট সহ প্রয়োকনীয় সরঞ্জামদি নিয়ে গত দুই ধরে এলাকায় কাজ করছেন। স্থলের পাশাপাশি স্পিডবোড নিয়ে বিভিন্ন এলাকায় টহল দিচ্ছেন। প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী এ দায়িত্ব পালন করছেন।
তারা বলছেন, দেশে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন থেকে বিরত থাকায় এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বধীন সরকার পতনের পর একযোগে আলোকবালী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে দুর্বৃত্তরা হামলা চালাচ্ছে, লুটপাট করছে, আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছে, পাশাপাশি বিভিন্ন গ্রামে হামলা অব্যাহত রয়েছে। সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নাইট গার্ডের দায়িত্ব পালন করছেন।
আলোকবালী ইউনিয়নের কাজিরকান্দি গ্রামের বাসিন্দা ও কাজিরকান্দি ফুলকুড়ি একাডেমির শিক্ষক নাসির আহমেদ বলেন, “আমি প্রথম থেকে কোটা আন্দলোন নিয়ে সক্রিয় ছিলাম। আমাদের আন্দলোন সফল হওয়ার পর আমাদের এলাকার একদল লোক ও কিছু দুর্বৃত্ত আমাদের সফলতাকে পুজি করে এলাকায় হামলা, ভাঙচুর, মারধোর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়ে যাচ্ছে। তাই দেশের নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। দেশের সাধারণ মানুষদের নিরাপত্তা দিতে আমরা রাতের আধারে বিভিন্ন গ্রামে, পাড়ায় ও মহল্লায় দায়িত্ব পালন করছি।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা যখন রাতে আমাদের এলাকার মুরাদনগর গ্রামে পাহাড়া দিচ্ছিলাম, তখন খবর পেলাম বকশালীপুর লুটপাট করা শুরু করছে একদল দুর্বৃত্ত। খবর পেয়ে সাথে সাথে ৫ মিনিটের ভিতর আমাদের দল স্পীডবোড দিয়ে ঘটনাস্থলে পৌছালে দুষ্কৃতকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”
নরসিংদী সরকারি কলেজের পদার্থ শিক্ষার্থী ও বৈষম্য বিরোধী কোটা আন্দলোনের কর্মী আহমেদ ইসলাম বলেন, “কোটা আন্দলোন করতে গিয়ে একাধিকভার হামলা শিকার হয়েছি। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল বৈশষ্য বিরোধী সমাজ গঠন। কিন্তু আমাদের প্রাথমিক বিজয়ের পর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত থাকা একদল দুর্বৃত্ত সেটাকে পুজি করে বিভিন্ন ব্যক্তির বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট অব্যাহত রেখেছে। তাই সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নাইট গার্ডের দায়িত্ব পালন করছি।”
তিনি আরও বলেন, “বৈষম্য বিরোধী আন্দলোন করেছি, মানুষকে দু:শাসন থেকে মুক্তি দিতে এবং আমার এলাকার লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমাদের জীবন উৎসর্গ করতে আপত্তি নেই। আমরা সাধারণ মানুষের পাশে আছি, যেকোনো দায়িত্ব পালন করতে প্রস্তুত আছি।