সোহেল রানা,কাপাসিয়া(গাজীপুর) প্রতিনিধিঃ
অনিয়ম ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগের অভিযোগে কাপাসিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার নামে রমনা থানায় মামলা হয়েছে।
এ ঘটনায় জড়িত তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন- আশরাফুল আলম (৩৮)। তিনি গাজীপুরের কাপাসিয়ার বীর উজলী গ্রামের জসীম উদ্দিন ছেলে। তিনি টোক নগর দারুল হাদিস আলীম মাদ্রাসা বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
স্বপন ব্যানার্জি (৩৩) গাজীপুরের কাপাসিয়ার টোক নয়ন বাজার গ্রামের শীল ব্যানার্জির ছেলে। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ধাতর বাজার কলেজের প্রদর্শক।
আ ন ম আব্দুল্লাহ (৬০) ময়মনসিংহের পাগলা থানার টাংগাব গ্রামের মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে। তিনি কাপাসিয়া উপজেলার সোহাগপুর আলীম মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল।
এ মামলার পলাতক আসামিরা রয়েছেন ৪ জন। তারা হলেন-সুমন (৩৪), পিতা-অজ্ঞাত, ঠিকানা-অজ্ঞাত। শাকিব আহমেদ (২৭), পিতা অজ্ঞাত, ঠিকানা অজ্ঞাত। আব্দুস সালাম (৫৮), পিতা অজ্ঞাত। তিনি কাপাসিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা।
গত সোমবার বিকাল ৪টায় কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ কে এম লুৎফুর রহমান বলেন, জাল জালিয়াতির অভিযোগে কাপাসিয়ার এক প্রিন্সিপালসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ মামলায় ৬ জন আসামি। তিনজন পলাতক রয়েছেন।
আসামি আব্দুস সালাম কাপাসিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কিনা জানতে চাইলে বলেন, নামের পাশে ঠিকানা অজ্ঞাত লেখা থাকলেও এজাহারে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লেখা আছে।
মামলার বাদী মো. নয়ন মিয়া (৩১) মামলায় উল্লেখ করেন, আমি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের প্রশাসনিক কর্মকর্তা। গোপন সংবাদ মাধ্যমে জানতে পারি, একটি জালিয়াতি চক্র জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ জাল করে বিভিন্ন স্কুলে অবৈধ ও ভুয়া নিয়োগ বাণিজ্য করছে।
প্রতারণার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এনটিআরসি শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার ২০১৬ সালের আগের নিয়োগ দেখিয়ে ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে। কাপাসিয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের কতিপয় কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় অনিয়ম ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ করে।
মোটা অঙ্কের বিনিময়ে তাদের এমপিওভুক্ত করে আসছে। বিষয়টি এনটিভারসির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় চলতি মাসের ২ জুলাই ডিবির (ডিএমপি) কাছে একটি অভিযোগ দায়ের করি।
অভিযোগটি আমলে নেয় ডিবি পুলিশ ৪ জুলাই বিকালে রমনা মডেল থানার বেইলি রোডের ফখরুদ্দিন হোটেলের সামনে থেকে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শাহ জাহান বলেন, আজ ( সোমবার) ছুটির দিন। এ বিষয়ে জেনে আগামীকাল বিস্তারিত জানানো হবে। ঢাকা রমনা থানার ওসি বলেন, আমি এখন থানার বাইরে। পরে ফোন দিলে বিস্তারিত জানানো হবে।