বিডি বাংলা ডিজিটাল ডেস্ক:
ভারতের ১৮তম লোকসভায় বিরোধী দলনেতার আসনে বসলেন কংগ্রেসের এমপি রাহুল গান্ধী। এর মাধ্যমে ২০ বছর পর গান্ধী পরিবারের তৃতীয় সদস্য হিসেবে বিরোধী দলনেতা হলেন রাহুল।
সর্বশেষ রাহুলের মা সোনিয়া গান্ধী বিরোধীদলীয় নেতা হয়েছিলেন লোকসভায়। তিনি ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত বিরোধী দলনেতা ছিলেন। আর রাহুলের বাবা রাজীব গান্ধী বিরোধীদলীয় নেতা ছিলেন ১৯৮৯ থেকে ১৯৯০ পর্যন্ত।
গত ৮ জুন দিল্লিতে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বর্ধিত বৈঠকে রাহুলকে লোকসভার বিরোধী দলনেতা করার প্রস্তাব গৃহীত হয়েছিল। এরপর বিষয়টি রাহুলের বিবেচনার ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত মঙ্গলবার রাতে দিল্লিতে বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে এ বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল বলেন, কংগ্রেস সংসদীয় দলের নেত্রী সোনিয়া গান্ধী লোকসভার প্রোটেম স্পিকারকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীকে বিরোধী দলনেতা পদে মনোনীত করা হয়েছে।
২০১৪ সালে ৪৪ এবং ২০১৯-এ ৫২টি আসনে জেতা কংগ্রেস এবার লোকসভা নির্বাচনে ৯৯টি আসন জিতে প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা পুনরুদ্ধার করেছে। এর মাধ্যমে এক দশক পরে লোকসভায় ফিরেছে বিরোধী দলনেতার পদ।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে কেরালার ওয়েনাড় এবং উত্তর প্রদেশের রায়বরেলি দুটি আসন থেকেই সাড়ে তিন লাখেরও বেশি ব্যবধানে জয়ী হয়েছেন রাহুল। এই পরিস্থিতিতে তাকে বিরোধী দলনেতা করার জন্য কংগ্রেসের অন্দরে জোরালো দাবি উঠেছিল।
বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে গতকালই নির্বাচিত স্পিকারকে শুভেচ্ছা জানান রাহুল গান্ধী। তিনি বলেন, ‘আপনার সফল নির্বাচনের জন্য আপনাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। এই হাউজটি ভারতের জনগণের কণ্ঠস্বরকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং আপনি সেই কণ্ঠের চূড়ান্ত বিচারক।
সরকারের রাজনৈতিক ক্ষমতা আছে কিন্তু বিরোধী দলও ভারতের জনগণের কণ্ঠস্বরকে প্রতিনিধিত্ব করে। এবং এবার, বিরোধীদল গতবারের চেয়ে বেশি শক্তিশালী। বিরোধীরা আপনার কাজে সাহায্য করতে চাইবে। এই হাউজে বিরোধীদের কণ্ঠস্বরকে প্রতিনিধিত্ব করার অনুমতি দেওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
আমরা নিশ্চিত যে, বিরোধীদের কথা বলার অনুমতি দিয়ে, ভারতের জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার অনুমতি দিয়ে, আপনি ভারতের সংবিধান রক্ষায় আপনার দায়িত্ব পালন করবেন।’