সর্বশেষ সংবাদ
Home / অপরাধ / মিন্টুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে রিমান্ডের আবেদন

মিন্টুকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে রিমান্ডের আবেদন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। চাওয়া হয়েছে ১০ দিনের রিমান্ড।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাকে রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের সিনিয়ার সহকারী কমিশনার মাহফুজুর রহমান।

এর আগে গত মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেলে ধানমণ্ডি থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে ডিবি। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে তার সম্পৃক্ততা পাওয়ায় এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে।

ডিবি সূত্র জানিয়েছে, আনার হত্যাকাণ্ডের পরপরই ঝিনাইদহের একাধিক নেতার মোবাইলে ‘মিশন সফল’ জানিয়ে আকতারুজ্জামান শাহীন খুদে বার্তা পাঠান। আনার হত্যাকাণ্ডের পর সঞ্জীবা গার্ডেন থেকে শিমুল ভূঁইয়া শাহীনের মোবাইলে ছবি পাঠান।

যেসব ছবি শাহীন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিন্টুর মোবাইলফোনে পাঠিয়ে বলেন, ‘আনার শেষ, মনোনয়ন কনফার্ম’।

এদিকে, ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর সঙ্গে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম আনারের রাজনৈতিক বিরোধ ছিল বলে জানিয়েছেন আনারকন্যা মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তার সন্দেহ, বাবার হত্যাকাণ্ডে স্থানীয় থেকে জেলা পর্যায়ের অনেক নেতা জড়িত।

ডরিন বলেছেন, আকতারুজ্জামান শাহীনের সঙ্গে আমার বাবার কোনো ব্যবসা ছিল না। সে আমার বাবার ঘনিষ্ঠ বন্ধু না। আমার বাবা হত্যার সঙ্গে যত বড় নেতাই জড়িত থাকুক না কেন, আমি তাদের বিচার চাই।

ডরিন বলেন, গত সংসদ নির্বাচনে আমার বাবার বিরুদ্ধে মনোনয়ন চেয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু চাচা। তার সঙ্গে আমার বাবার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক বিরোধিতা রয়েছে।

এমনকি সেই নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আমার বাবার বিরুদ্ধে একজন প্রার্থীকে দাঁড় করিয়েছিলেন।

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে ভারতে যান এমপি আনার। ওঠেন পশ্চিমবঙ্গে বরাহনগর থানার মণ্ডলপাড়া লেনে গোপাল বিশ্বাস নামে এক বন্ধুর বাড়িতে।

পরদিন চিকিৎসক দেখানোর কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এর পর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি।

বাড়ি থেকে বেরোনোর পাঁচ দিন পর ১৮ মে বরাহনগর থানায় আনোয়ারুল আজীম নিখোঁজের বিষয়ে একটি জিডি করেন বন্ধু গোপাল বিশ্বাস। এরপরও খোঁজ মেলে না তিনবারের এই সংসদ সদস্যের।

২২ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউ টাউন এলাকায় সঞ্জীবা গার্ডেনস নামের একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীম খুন হয়েছেন। ঘরের ভেতর পাওয়া যায় রক্তের ছাপ।

 

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

রাজশাহীতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা

এই রাজশাহী অফিস: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলার দায়ে গণপিটুনিতে ...