সর্বশেষ সংবাদ
Home / খেলাধুলা / সাফজয়ী ইয়ারজান পরিবারের ঈদ আনন্দে নতুন মাত্রা

সাফজয়ী ইয়ারজান পরিবারের ঈদ আনন্দে নতুন মাত্রা

স্টাপ রিপোটার পঞ্চগড়:

তিন মাস আগের কথা। মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহ। সাফ ফুটবল ফাইনালে ভারতের মুখোমুখি বাংলাদেশ। অনূর্ধ্ব-১৬ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে প্রতিবেশী দেশটিকে হারিয়ে দিল লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। গোলরক্ষক ইয়ারজান বেগমের নৈপুণ্যে ৩-২ ব্যবধানে টাইব্রেকার জিতে শিরোপা উৎসবে মাতে বাংলাদেশের মেয়েরা।

বাংলার নন্দিনীদের শিরোপা জয়ের খবর ঠাঁই করে নেয় দেশ-বিদেশের মিডিয়ায়। জয়ের নায়ক ইয়ারজানের বাড়ি পঞ্চগড় সদর উপজেলা হাঁড়িভাসা ইউনিয়নের খোপড়াবান্দি গ্রামে ভিড় জমে সাংবাদিকদের। শিরোনামে-শিরোনামে উঠে আসতে থাকে ইয়ারজানের নৈপুণ্যের জয়গান। এও জানা যায়, বাংলার বাঘিনীর জীবন সংগ্রামের কাহিনী। দরিদ্র পরিবারে জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইয়ারজানের থাকার ঘরটা পর্যন্ত ছিল জরাজীর্ণ।

ঠিক তিন মাসের মাথায় ইয়ারজান পরিবার দারুণ উপহার পেল জেলা প্রশাসন থেকে। তাদের উদ্যোগে বানিয়ে দেওয়া হয়েছে সেমিপাকা ঘর। বুধবার (১২ জুন) দুপুরে ঘর হস্তান্তর করেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) জহুরুল ইসলাম। এ সময় ইয়ারজানের হাতে ঘরের প্রতীকী চাবি তুলে দেন ডিসি। ঈদুল আজহার আগে এমন উপহার পেয়ে যেন ঈদের আনন্দ বইছে ইয়ারজানের পরিবারে।

আবেগাপ্লুত ইয়ারজান বেগম বলেন, ঈদের আগে আমার জন্য এটি দারুণ উপহার। আমি অত্যন্ত আনন্দিত। জেলা প্রশাসক আমার সব সময় খোঁজখবর নিয়েছেন। এখন বাড়ি উপহার দিলেন।

জেলা প্রশাসন জানায়, ইয়ারজানের মা রেণু বেগম দিনমজুর। তার আয়ে সংসার চলে। বাবা আব্দুর রাজ্জাক শ্বাসকষ্টের রোগী। তিনি কোনো কাজ করে আয় করতে সক্ষম নন। তাদের ঘরের অবস্থা ছিল জরাজীর্ণ। বেড়াচাটির ভাঙাচোরা ঘরে বসবাস করতেন তারা। সাফ জয়ের পর বিষয়টি নজরে আসে জেলা প্রশাসনের। পরে প্রশাসনের উদ্যোগে প্রায় চার লাখ টাকা ব্যয়ে দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি সেমিপাকা ঘর এবং প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা ব্যয়ে ওয়াশরুম কাম শৌচাগার ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ডিসি জহুরুল ইসলাম বলেন, আমরা চেয়েছি পঞ্চগড়ের কৃতী সন্তান ইয়ারজান ও তার পরিবার যেন সম্মানের সঙ্গে বসবাস করতে পারে। সরকার সব সময় ইয়ারজানের পরিবারের পাশে রয়েছে। বর্তমান সরকার ক্রীড়াপ্রেমী সরকার। আমরা সব সময় খেলোয়াড়দের পাশে রয়েছি।

ঘরের চাবি হস্তান্তরের সময় পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকির হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মালিহা খানম, পঞ্চগড় জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মিনহাজুর রহমান, হাঁড়িভাসা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইয়েদ নুর ই আলম, ইয়ারজানের বাবা আব্দুর রহমান, মা রেণু বেগম ও পরিবারের সদস্যরা এবং প্রতিবেশীরা উপস্থিত ছিলেন।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

২৮০ রানের বড় ব্যবধানে ভারতের কাছে হারলো বাংলাদেশ

  ক্রীড়া ডেস্ক: তৃতীয় দিনেই আঁচ পাওয়া গিয়েছিল পঞ্চম দিনে গড়াবে না ...