সর্বশেষ সংবাদ
Home / আন্তর্জাতিক / জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কালো তালিকায় ইসরায়েল

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক কালো তালিকায় ইসরায়েল

 

বর্তমান দেশবাংলা রিপোর্ট:

যুদ্ধক্ষেত্রে শিশুদের রক্ষায় ব্যর্থ দেশ ও সশস্ত্র বাহিনীর তালিকায় ইসরায়েলকে সংযুক্ত করতে যাচ্ছে জাতিসংঘ। তবে বিশ্ব সংস্থাটির এমন সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছে ইহুদি রাষ্ট্রটি। খবর এএফপির।

যদিও জাতিসংঘ মহাসচিবের কাছ থেকে আগামী ১৮ জুনের আগে বার্ষিক ‘শিশু ও সশস্ত্র সংঘাত’ বিষয়ক প্রতিবেদনটি প্রকাশের সম্ভাবনা নেই।

তবে, জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জিলাড আরডান তালিকায় অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে ব্যক্তিগতভাবে তার প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করেছেন। এক বিবৃতিতে আরডান বলেন, ‘এই লজ্জাজনক সিদ্ধান্তে আমি বিস্মিত ও বিরক্ত।’

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তার অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে বলেন, ‘হামাসের অযৌক্তিক দাবিকে গ্রহণ করে জাতিসংঘ নিজেকেই আজ নিজেকে কালো তালিকাভুক্ত করল।’

ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বিভাগের উদ্ধৃতি দিয়ে নেতানিয়াহু আরও লেখেন, ‘ইসরায়েলের সশস্ত্র বাহিনী বিশ্বের অন্যতম ন্যায়পরায়ণ সামরিক বাহিনী এবং জাতিসংঘ মহাসচিবের এমন ঢালাও সিদ্ধান্ত এটির কোনো পরিবর্তন আনতে পারবে না।’

জাতিসংঘে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত রিয়াদ মানসুর বলেন, ‘ইসরায়েলকে এই লজ্জার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলেও তাদের হামলায় নিহত শিশুদের জীবন ফিরে আসবে না কিংবা পঙ্গু হয়ে পড়া মানুষের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে না।’

এক্স হ্যান্ডেলে রিয়াদ মানসুর আরও বলেন, ‘এটা সঠিক নির্দেশনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। দুমুখো নীতি ও দায়মুক্তির সংস্কৃতির কারণে ইসরায়েল যে সুবিধা ভোগ করে আসছিল এবং যার কারণে আমাদের শিশুদের জীবন হুমকির মুখে পড়েছে, এই সিদ্ধান্তের ফলে তা কিছুটা হলেও দূর হবে।’

এদিকে, কূটনৈতিক সূত্রগুলো বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, হামাস এবং আরেকটি ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন ইসলামিক জিহাদের নামও এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে।

ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত জিলাড আরডান অ্যান্তোনিও গুতেরেসকে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে বলেন, ‘আজকে জাতিসংঘ মহাসচিবই কালো তালিকাভুক্ত হলেন।’

আরডান বলেন, ‘জাতিসংঘ মহাসচিবের এই সিদ্ধান্তের ফলে হামাস তাদের কাজে আরও বেশি করে স্কুল ও হাসপাতালগুলোকে ব্যবহার করতে থাকবে। এই সিদ্ধান্ত হামাসকে আশা জোগাবে।’

গত বছরের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় এক হাজার ১৯৪ জন নিহত হওয়ার মাধ্যমে সূচনা হয় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ। পাল্টা প্রতিশোধ নিতে গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনিদের অবস্থানে হামলা শুরু করে ইসরায়েল।

চলমান এই হামলায় এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৭৩১ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক লোক। গাজার সরকারি সূত্রে জানা গেছে, নিহতদের মধ্যে রয়েছে ১৫ হাজার শিশু।

 

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

লেবাননে ইসরায়েলের মুহুর্মুহু হামলা, নিহত ৩৩

  আন্তর্জাতিক ডেস্ক: লেবাননের বৈরুতে শুক্রবার ব্যাপক হামলা চালিয়ে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র ...