বিশেষ প্রতিনিধি:
রাজধানী ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫১নং ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি পদ প্রার্থী মোহাম্মদ জহির রায়হান ওরফে কালা জহিরের চাঁদাবাজিতে অতিষ্ট এলাকাবাসি।
উত্তরা এলাকায় মোহাম্মদ জহির ওরফে কালা জহির মানেই ত্রাস, জবর দখলের নতুন ইতিহাস। এক সময় বস্তিতেতে বেড়ে উঠা হত দরিত্র জহির এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। তার অবৈধ টাকার উৎস অনুসন্ধ্যানে চাঞ্চল্যকর ঘটনা প্রকাশ হয়ে পড়ে।
প্রত্যক্ষদর্শিরা জানান,বস্তির নোংড়া পরিবেশে বেড়ে উঠা মোহাম্মদ জহির ওরফে কালা জহির ছোটবেলা থেকেই ডানপিঠে স্বভাবের।রাজনীতিতে নাম লেখানোর আগে মাস্তানি চুরি ডাকাতি ছিনতাই ও বখাটে সিন্ডিকিটের নিয়ন্ত্রক বনে যান তিনি।
তার বহুবিধ অপকর্মের কারনে উত্তরার ৫১ নং ওয়ার্ডে অল্প সময়েই সন্ত্রাসী ত্রাস হিসেবে তার নাম ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের দৃষ্টিতে আসেন তিনি।
৫১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শরীফ রহমান কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে তার ছত্র ছায়ায় আরও হিংস্র হয়ে যান মোহাম্মদ জহির রায়হান ওরফে কালা জহির।
এক সময় তিনি তার সিন্ডিকেটকে ব্যবহার করে শুরু করেন প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি। এরপরই প্রকাশ্যে চলে আসে তার বিভিন্ন অপকর্ম। অনুসন্ধ্যানে জানা যায়, মোহাম্মদ জহির রায়হান ওরফে কালা জহির কাউন্সিলর মোহাম্মদ শরীফ রহমানের মাধ্যমে রাজউকের জমিতে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করে দখল বানিজ্য শুরু করেন।
রাজউকের জমিতে জবরদখলের মাধ্যমে তিনি বাসা, দোকান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নির্মান করে ভাড়া দিয়ে মাসে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।
এছাড়া কাউন্সিলর মোহাম্মদ শরীফের ছত্র ছায়ায় উত্তরার ১১ ও ১৩ নম্বর সেক্টরের ফুটপথ দখল করে সেখানে ভাসমান দোকান ও হকারদের বসতে দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা ।
এছাড়া জহির উল্লেখিত এলাকায় বাড়ি ঘর দোকানপাটসহ বিভিন্ন ধরনের স্থাপণা নির্মানের ক্ষেত্রে তার কাছ থেকে চড়া দামে নির্মান সামগ্রী কিনতে নির্মাতাদের বাধ্য করেন বলে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে।
উল্লেখিত ৩টি উৎসের নিয়ন্ত্রক কাউন্সিলর শরীফের কথিত ভাগিনা জহির রায়হান ওরফে কালা জহির। কালা জহির বিশাল সিন্ডিকেট গড়ে তুলে বস্তির ছেলে হয়েও রাতারাতি কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন।
জানা গেছে তিনি তার অবৈধ টাকা নেতাদের উপহার দিয়ে ওই এলাকার স্বেচ্চাসেবক লীগের সভাপতির পদ বাগিয়ে নিতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন। এ বিষয়ে নীতি নির্ধারনী মহলের কিছু নেতা তার পক্ষে অবস্থানও নিয়েছেন বলে তথ্য আছে।
ভুক্তভোগীরা জহির রায়হানের অবৈধ টাকার উৎস অনুসন্ধানে দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এবং তাকে রাজনৈতিক শীর্ষ পদে বসিয়ে আরও লাগামহীন দৌরাত্ম থেকে এখানকার মানুষকে মুক্তি দিতে রাজনৈতিক নেতৃত্বের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।
এব্যাপারে জহির রায়হানের শেল্টার দাতা কাউন্সিলর শরীফ রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মিঠিংয়ে আছে বলে ফোন কেটে দেন।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালে বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন আর টিভিতে মোহাম্মদ শরীফ ও মোহাম্মদ জহিরের দূর্নীতির বিষয়য়ে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।