পাবনা প্রতিনিধিঃ পাবনায় কাজ না দেওয়ায় প্রকৌশলীর প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ উঠেছে ৩জন ঠিকাদারের বিরুদ্ধে, প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ এনে গতকাল শুক্রবার (১০ মে) গণপূর্ত অফিসের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী আনোয়ারুল আজিম বাদী হয়ে ১৪/১৫ জন অজ্ঞাতনামাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে পাবনা সদর থানায় এজাহার দাখিল করেছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সরকারী ঠিকাদারী কাজ অনৈতিক ও অবৈধভাবে দাবী করে চকছাতিয়ানী মহলার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে রাজিবুল হাসান রাজিব (৩৫), চক গোবিন্দা (চাঁদমারী নয়নামতি) মহলার জামাল উদ্দিনের ছেলে রোকনুজ্জামান তুষার (৪৪), কালাচাঁদ পাড়া নূরুল ইসলামের ছেলে আকাশ (৪৩), এবং কৃষ্ণপুর মৃত মহন বিশ^াসের ছেলে মোঃ রনা বিশ^াস (৩৫) অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন পরিকল্পিতভাবে দলবদ্ধ হয়ে তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ারুল আজিম অফিস কক্ষে আকস্মিকভাবে প্রবেশ করে শক্তির মহড়া, দাপট প্রদর্শন, ভয়ভীতি, ত্রাস ও বিশৃংঙ্খ অরাজক সৃষ্টি করে। তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ আনোয়ারুল আজিম অফিস কক্ষে থাকা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান এর নিকট বিভিন্ন সরকারী ঠিকাদারী কাজ অনৈতিক ও অবৈধভাবে দাবী করে। নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান তাদের অনৈতিক দাবী পূরণ করতে অস্বীকার করলে তারা নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমানকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও আক্রমন করে, সরকারী দাপ্তরিক কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এ সময় অফিসের কর্মকর্তাগণ বাধা দিলে অভিযুক্ত আসামীরা প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে অফিস হতে চলে যায়।
এ দিকে জানা যায় পাবনা গণপূর্ত বিভাগের তৎকালীন নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ফয়সাল রহমান পাবনায় যোগদান করার পর থেকে অভিযুক্তরা মোহাম্মদ ফয়সাল রহমানের সাথে যোগসাজসে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন টেন্ডারে অনিয়ম ও অবৈধভাবে ঠিকাদারী কাজ করে আসছিলেন। নাম না বলার শর্তে পাবনা গণপূর্ত বিভাগের কয়েকজন ঠিকাদার বলেন মাঝে মধ্যেই তারা অস্ত্র-সস্ত্র সহ অফিসে প্রবেশ করে মহড়া দিয়ে, আতঙ্ক সৃষ্টি করে আসছিলেন।
এ বিষয়ে পাবনা সদর থানার ওসি মো. রওশন আলী মুঠো ফনে বলেন, শুক্রবার লিখিত অভিযোগ পেয়েছি পরে সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও দেখে এবং প্রাথমিক তদন্তে ঘটনার সত্যতা মেলায় শুক্রবার রাতে অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। ২ জন অভিযুক্ত আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে, অভিযান চালানো হয়েছে ঘটনার পর থেকেই অনেকেই পলাতক রয়েছে। আশা করি খুব শিগ্রই বাকি আসামীদেরকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।