সর্বশেষ সংবাদ
Home / অপরাধ / যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সাম্রাজ্য, অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

যুক্তরাজ্যে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর সাম্রাজ্য, অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট

 

দেশবাংলা রিপোর্টঃ

২০১৬ সাল থেকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তোলার ঘটনার অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. সালাউদ্দিন জনস্বার্থে এ রিট করেন। এ রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

২০১৬ সাল থেকে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তোলার ঘটনার অনুসন্ধান চেয়ে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।

রিটে ‘সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সাম্রাজ্য যুক্তরাজ্যে’- শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি সংযুক্ত করা হয়েছে।

প্রতিবেদনের প্রথমাংশে বলা হয়, উত্তর-পশ্চিম লন্ডনের ব্যক্তিগত আবাসিক রাস্তায় একটি সম্পত্তি ২০২২ সালে ১ কোটি ৩৮ লাখ ডলারে (১৫২ কোটি টাকায়) বিক্রি হয়। রিজেন্টস পার্ক এবং লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড থেকে পাথর ছোড়া দূরত্বে যুক্তরাজ্যের রাজধানীর সবচেয়ে সমৃদ্ধ এলাকাগুলোর একটিতে সাদা টাউনহাউসের সারি।

একটি সম্পত্তি বিপণন কোম্পানির আলোকচিত্রে দেখা যায়, এর মেঝে থেকে সিলিং পর্যন্ত জানালা, বেশ কয়েকটি ফ্লোরজুড়ে সর্পিল সিঁড়ি, রয়েছে থিয়েটার এবং ব্যায়ামাগার।

সম্পত্তি প্ল্যাটফর্মের হিসাবে বর্তমানে বাড়িটির দাম ১৮০ কোটি টাকারও (১.৩ কোটি পাউন্ড) বেশি। বাড়িটি বাংলাদেশের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদের মালিকানাধীন।

অথচ বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দেশটির কোনো নাগরিক, বাসিন্দা এবং সরকারি কর্মচারী বছরে ১২ হাজার ডলারের (১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকার) বেশি অর্থ দেশের বাইরে নিতে পারেন না। বাংলাদেশের আইনে করপোরেশনের বিদেশে তহবিল স্থানান্তরেও নানা বিধিনিষেধ রয়েছে। শুধু কিছু শর্তপূরণ সাপেক্ষে অনুমতি দেওয়া হয়।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাভেদ গত জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ বছর ভূমিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সাল থেকে তার মালিকানাধীন কোম্পানি প্রায় ২০ কোটি ব্রিটিশ পাউন্ড (২৭৭০ কোটি টাকা) মূল্যের ৩৫০টিরও বেশি সম্পত্তি কিনে, যুক্তরাজ্যে রিয়েল এস্টেট সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছে।

যুক্তরাজ্যের কোম্পানি হাউস করপোরেট অ্যাকাউন্ট, বন্ধকি চার্জ এবং এইচএম ল্যান্ড রেজিস্ট্রি লেনদেনের ওপর ভিত্তি করে এ পরিসংখ্যান পেয়েছে বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ।

ব্লুমবার্গের প্রায় আড়াই হাজার শব্দের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, মধ্য লন্ডনের বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্ট থেকে শুরু করে, ইংল্যান্ডে বাংলাদেশি সম্প্রদায়ের বৃহত্তম আবাস টাওয়ার হ্যামলেটস এবং লিভারপুলে ছাত্রদের আবাসন পর্যন্ত বিস্তৃত তার সাম্রাজ্য। জাভেদের প্রায় ২৫০টি সম্পত্তি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, প্রায় ৯০ শতাংশ নতুন অবস্থায় কেনা হয়।

এ অভিযোগের পর ২ মার্চ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে লন্ডনে ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করেন। এরপর বলেন নিজের বিরুদ্ধে এক টাকা দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গেলে পদত্যাগ করার ঘোষণা দেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও বর্তমান ভূমি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাইফুজ্জামান চৌধুরী।

লন্ডনে পৈতৃক ব্যবসার কথা উল্লেখ করে বিদেশে নিজের ব্যবসা ও সম্পদ থাকার কথা স্বীকার করে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জানান, তার বাবা ১৯৬৭ সাল থেকে লন্ডনে ব্যবসা করেন।

তিনি নিজেও যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশোনা করে ১৯৯১ সাল থেকে সেখানে ব্যবসা করেন। এরপর তিনি লন্ডনে ব্যবসা সম্প্রসারণ করেন।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ আজ : আলোচনায় সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ

  সদরুল আইন: অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের ...