যথাযথ প্রক্রিয়ায় টাঙ্গাইল শাড়িকে বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে জিআই (ভৌগোলিক নির্দেশক) স্বীকৃতি দেওয়ার ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের সহায়তা নেবে সরকার। গতকাল বুধবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত এক সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়।
মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরসহ (ডিপিডিটি) সংশ্লিষ্ট অন্যান্য দপ্তরের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।
গত ১ ফেব্রুয়ারি ভারতের সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় তাদের ফেসবুক পেজে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য তাঁতি সমবায় সমিতি টাঙ্গাইল শাড়ির জিআই স্বীকৃতি পেয়েছে। এ খবরে বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তারা এ ধরনের কার্যক্রমের তীব্র সমালোচনা করে। পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ সরকারও প্রতিক্রিয়া জানায়। পরে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে নির্দেশনা দেন এবং সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থাগুলো টাঙ্গাইল শাড়িকে বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতির ঘোষণা দেয়।
বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা হচ্ছে, আইনসম্মতভাবে এবং সঠিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে বিভিন্ন পদক্ষেপ না নেওয়া হলে টাঙ্গাইল শাড়ির ওপর বাংলাদেশের ন্যায়সংগত মালিকানা প্রতিষ্ঠার সব চেষ্টা নিরর্থক হবে। তাই যথাযথ প্রক্রিয়ায় টাঙ্গাইল শাড়িকে বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে জিআই স্বীকৃতির ক্ষেত্রে করণীয় নির্ধারণে এ সভার আয়োজন করে শিল্প মন্ত্রণালয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কামরুন নাহার সিদ্দীকা সমকালকে বলেন, টাঙ্গাইল শাড়িকে জিআই পণ্যের স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে ইতোমধ্যে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে আয়োজিত সভায় ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় আলোচনা করা হবে, নাকি আইনগতভাবে মোকাবিলা করা হবে– তা নিয়ে প্রাথমিকভাবে আলোচনা হয়েছে।
কোনো কমিটি গঠন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের সহায়তা নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে।