এম হাসান ইমাম বাচ্চুঃ চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ
ভিকটিমের মা মামলার বাদীনি হালিমা আকতার (৩৫), স্বামী-মোঃ শাহ আলম, জামাল কলোনী, মোহাম্মদপুর থানা-পাঁচলাইশ, চট্টগ্রাম,
গ্রেফতারকৃত আসামি মোঃ শাহ আলম (৪০), পিতা-মৃত আবুল খায়ের, সাং-উত্তর লক্ষীপুর, হাজীর হাটি, সুমনের বাড়ী, থানা-নবীনগর জেলা-বাহ্মনবাড়িয়া, বর্তমানে- বাদীর একই ঠিকানা-
বাদীনি হালিমা আকতার ২৮ জানুয়ারি ২৪ ইং পাঁচলাইশ থানায় এসে গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে যে, আসামি বাদীর ২য় স্বামী হয়। তাহার ১ম সংসারে এক কন্যা সন্তান সাঈদা আক্তার (১৩) রয়েছে। তাহার পূর্বের স্বামী বাদীকে ছাড়িয়া অন্যত্র চলিয়া গেলে বাদী- আসামি মোঃ শাহ আলম কে ২য় বিবাহ করে। উক্ত আসামি বেশ কিছুদনি যাবৎ বাদীর কন্যা সন্তান সাঈদা আক্তার কে কুপ্রস্তাব দিতে থাকে। তাহার প্রস্তাবে রাজী না হইলে বিবাদী তাহার মেয়েকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায়। ২৮ জানুয়ারি ২৪ তাং রাতে পাঁচলাইশ থানাধীন মোহাম্মদপুর, জামাল কলোনীস্থ (জামাল এর ভাড়াটিয়া), ৩নং রুমের ভিতরে বাদী ও স্বামী বিবাদীকে নিয়ে একত্রে ঘুমাইয়া পড়ে। বাদীর মেয়ে সাঈদা আক্তার (১৩) একই বাসার পাশের রুমে ঘুমাইয়া গেলে ২৮ জানুয়ারি ২৪ ইং তাং রাত অনুমান ১:৩০ ঘটিকার সময় হঠাৎ বাদীর ঘুম ভেঙ্গে গেলে বিছানার পাশে বাদীর স্বামীকে দেখতে না পেয়ে বাদীর সন্দেহ হলে ভিকটিমের মা তার মেয়ের রুমের ভিতরে গেলে। সেখানে দেখতে পাই যে,বিবাদী তার মেয়ে সাঈদা আক্তার (১৩) কে উড়না দিয়ে এক হাত ও এক পা বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা করিতেছে। মা ঘটনা দেখে ফেলায় আসামি বাদীকে দেখিয়া দৌঁড়ে বাথরুমের ভেতরে লুকিয়া থাকে। পরবর্তীতে বাদী সেখান থেকে বিবাদীকে বাহির করিয়া তাহার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া কিল ঘুষি মারিলে তাহার শরীরের বিভিন্ন স্থানে সামান্য আঘাত’প্রাপ্ত হয়। তখন বাদী- আসামির ঘটনার বিষয়ে শোর-চিৎকার করিলে আশপাশের লোকজন বাদীর বাসায় এসে জড়ো হয়। পরবর্তীতে বাদী জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ তে ফোন করিলে পাঁচলাইশ মডেল থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আসামিকে আটক করে। থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামি স্থানীয় লোকজনদের সামনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। তখন পাঁচলাইশ মডলে থানা পুলিশ বাদীর স্বামী আসামিকে আটক করিয়া প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানায় নিয়ে আসে এবং বাদী ভিকটিম সাইদা আক্তার (১৩)কে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ও.সি.সি (ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার) এ ভর্তি করান। উক্ত বিষয়ে থানায় ধর্ষণের চেষ্টা নারী ও শিশু আইনে মামলা রুজু হয়েছে- পরবর্তীতে আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলে জানায় পাঁচলাইশ থানার অপস অফিসার জুবায়ের মৃধা