মো. নাঈম হোসাইন, দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি : পটুয়াখালী দশমিনা উপজেলায় মোসাঃ সুমাইয়া আক্তার(১৮) নামে এক কলেজ ছাত্রীগলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করেছে।
উপজেলার দশমিনা ইউনিয়নের ১নং দশমিনা গ্রামের নানা বাড়ি থেকে আত্নীয়স্বজনরা ওই ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে। মোসাঃ সুমাইয়া আক্তার ওই এলাকার মোঃ নজরুল ইসলামের বড় মেয়ে এবং একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেনীতে পড়াশুনা করে।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, ওই এলকার মোঃ কালাম মিয়ার (নানা) বড়িতে থেকে ছোট বেলা থেকে পড়াশুনা করে সুমাইয়া। নানা- নানির আদরের ছিলো সুমাইয়া। ২০২০-২১ সালে নানা ও নানি মারা যাবার পর সুমাইয়া মানষিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। সুমাইয়ার বাবা-মা সুমাইয়াকে ঢাকা, বরিশাল মানষিক ডাক্তার দেখালেও পুরোপুরি সুস্থ হয়নি।
আজ বুধবার (২০ ডিসেম্বার) দুপুর ১টায় নানার বাড়ির ঘরের আড়ার সাথে সুমাইয়া গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। মামি আসমা বেগম শব্দ পেয়ে দৌড়াইয়া ঘরে গেলে দেখে সুমাইয়া আড়ার সাথে ঝুলে আছে।
ডাকচিৎকার করলে এলাকার লোকজন এসে সুমাইয়াকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ মিঠুন চন্দ্র হালদার মৃত্যু ঘোষনা করেনে। পরে দশমিনা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান সুমাইয়ার মরদেহ থানায় নিয়ে যায়।
সুমাইয়ার বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, উপজেলার রেনগোপালদী ইউনিয়নের রনগোপালদী গ্রামের বসবাস করেন নজরুন ইসলামের পরিবার। সুমাইয়া ছোট বেলা থেকে নানা বাড়ি থাকতো । নানা-নানির আদরের ছিলো । নানা-নানি মারা যাবার পর সুমাইয়া মানষিক ভরসাম্য হারিয়ে ফেলে। এ নিয়ে বহু ডাক্তার দেখিয়েছি কোন কাজ হয়নি।
বুধবার সকালে আমাকে ভাত দেয়। আমি ভাত খেয়ে মাদ্রাসায় চলে আসি। দুপুরে খবর পাই গলায় ফাসঁ দিয়ে আত্নহত্যা করেছে। থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত(ওসি) নুরুল ইসলাম মজুমদার বলেন, সুমাইয়ার মরদেহ থানা আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী মর্গে পঠানো হবে। তারপর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ব্যাপারে একটি অপমৃত্যুর মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে।