পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মিগজাউম’ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (১৪.৮০ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮০.২০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেনের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫৩০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ১৫০০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৪৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ১৩৭৫ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আজ সকাল নাগাদ নিলর ও মাসুলিপট্টমের কাছ দিয়ে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এটি আরো উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি., যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দর গুলোকে ০২ নম্বর দূরবর্তী হুঁশিয়ারি সংকেত ‘দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
এ বছর বাংলাদেশে তিনটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছে। গত ১৪ মে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’, ২৪ অক্টোবর রাতে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে এবং ১৭ নভেম্বর আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। বর্তমানে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড়টির মিয়ানমারের দেয়া নাম ‘মিগজাউম’।