দেশের সব মাধ্যমিক বিদ্যালয় গুলোতে প্রথম থেকে নবম শ্রেণিতে ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করতে ডিজিটাল লটারি করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনায় এই লটারি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
লটারির এই অনুষ্ঠানটি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) ফেসবুক পেজ এবং টেলিভিশন চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, ১ম থেকে নবম শ্রেণির পর্যন্ত যারা মনোনীত হয়েছেন তারা দুপুর ২টার পর এসএমএসে মাধ্যমে ফল জানিয়ে দেওয়া হবে।
মাউশি জানায়, ভর্তির জন্য আবেদন নেওয়া শুরু হয়েছিল ২৪ অক্টোবর। প্রথমে ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত সময় থাকলেও পরে তা বাড়িয়ে ১৮ নভেম্বর করা হয়। এবার কেন্দ্রীয় লটারির অধীনে আসা দেশের সরকারি-বেসরকারি ৩ হাজার ৮৪৬টি বিদ্যালয়ে আসন আছে ১১ লাখ ২২ হাজার ৯৪টি। তবে আবেদন পড়েছে ৮ লাখ ৭৩ হাজার ৭৯২টি। এর মধ্যে ৬৫৮টি সরকারি বিদ্যালয়ে আছে ১ লাখ ১৮ হাজার ১০১ আসন।
আবেদন পড়েছে ৫ লাখ ৬৩ হাজার ১৩টি। অন্যদিকে ৩ হাজার ১৮৮টি বেসরকারি বিদ্যালয়ের ১০ লাখ ৩ হাজার ৯৯৩টি আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে ৩ লাখ ১০ হাজার ৭৭৯ টি। অর্থাৎ বেসরকারি বিদ্যালয়ে আবেদন কারী সবাই ভর্তি হলেও প্রায় সাত লাখ আসন খালি থাকবে।
আগে কেবল প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির কাজটি হতো লটারির মাধ্যমে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২১ শিক্ষাবর্ষে বিদ্যালয় গুলোয় সব শ্রেণিতেই লটারির মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। এর পর থেকে একই প্রক্রিয়ায় ভর্তির জন্য শিক্ষার্থী বাছাই করা হচ্ছে।