পটুয়াখালী প্রতিনিধি : গলাচিপার চিকনিকান্দিতে ছোট ভাইর হুমকির মুখে দিন কাটছে আপন বড় ভাই ফকর উদ্দিন রাশেদ মুন্সির। সর্বাত্মক কষ্ট এবং চেষ্টায় আপন বড় ভাই রাশেদ মুন্সি তার ছোট ভাই অলি আহম্মেদ (৪৬) কে পড়াশুনা করিয়েছেন। বড় ভাই তার দ্বায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করেছে। তার বদৌলতে আজ সে বিসিএস কর্মকর্তা। কিন্তু বড় ভাই বলে, সে মানুষ হয়নি, হয়েছে অমানুষ।
অন্যদিকে ছোট বোনকেও লেখাপড়া করিয়ে চাকুরি দিয়েছে, বাড়ি করে দিয়েছে। আজ ফকর উদ্দিন রাশেদ মুন্সি সেই ছোট ভাই-বোনের অত্যাচর নির্যাতনসহ নানা হয়রানির শিকার। ছোট ভাই গং তার ভাড়াটে মাস্তান নিয়ে বড় ভাইকে বেধরক মেরে গুরুতর যখম করেছে এবং বড় ভাইয়ের দোকানপাট ভেঙ্গেচুরে তছনছ করে দিয়েছে। এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে সেখানে জীবনের হুমকি রয়েছে। নিরুপায় হয়ে বড় ভাই ছোটভাই অলি আহম্মেদের বিরুদ্ধে জিডিকরেছে, কয়েকটি মামলা করেছে। গলাচিপা থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে। কোর্টে কয়েকটি মামলা হয়েছে, গলাচিপা থানায় অভিযোগ করা হয়েছে যার নম্বর – ৪২ তারিখ- ০৭/০৩/২০২৩। গলাচিপা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা নং- ২৩৯/২৩ এবং এমপি নং ৬২৪ তারিখ: ১৬/১০/২০২২। পটুয়াখালী দ্রুত বিচার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সিআইডি সহ প্রশাসনিকভাবে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে। সত্যতার ভিত্তিতে সে তদন্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে মামলার রায় অলি আহম্মেদের বিরুদ্ধে চলে যায় অর্থাৎ বড় ভাইয়ের পক্ষে যায়। আইনের তোয়াক্কা না করে অলি আহম্মেদ গং বড় ভাইয়ের উপর হুমকি অব্যাহত রেখেছে। কোনক্রমে কমছে না ছোট ভাই অলি আহমেদের দাপট। গোয়েন্দা নজরদারি রাখলে তার অপকর্মের নানা তথ্য উদঘাটন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে বড় ভাইসহ এলাকার কয়েকজন লোক। বড় ভাইকে শারীরিক নির্যাতনসহ অর্থনৈতিক, সামাজিকভাবে ক্ষতি করেছে। এ মর্মে পুলিশ প্রতিবেদন দিয়েছেন।
জানা যায় এই অলি আহম্মেদ (৪৬) পটুয়াখালী সরকারি কলেজে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষক। আইনের আশ্রয় নিয়ে ন্যায্য বিচার চাইতে যাওয়ায় এবং রায় ও প্রতিবেদন আপন ছোটভাই গংদের বিরুদ্ধে চলে যাওয়ায় আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠছে বলে জানায় বড় ভাই। তারপরও থামছেনা ছোট ভাইয়ের ক্ষমতার দাপট। বর্তমানে দু’ ভাইয়ের মধ্যে চরম ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে। বড় ভাই এসবের তথ্য প্রমাণসহ বক্তব্য ভিডিও করা হয়েছে।