সর্বশেষ সংবাদ
Home / সারাদেশ / চট্রগ্রাম বিভাগ / কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ২৭০ টি কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত 

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ২৭০ টি কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত 

মোঃআমান উল্লাহ, কক্সবাজার প্রতিনিধি:কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে ২৭০টি সামুদ্রিক কাছিমের বাচ্চা অবমুক্ত করা হয়েছে । গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার সময় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্যাঁচার দ্বীপ এলাকায় ১-৩ দিন বয়সী এ বাচ্চাগুলোকে অবমুক্ত করা হয়।চলতি বছর হ্যাচারিতে ফোটানো প্রথম সামুদ্রিক কচ্ছপের বাচ্চা ছাড়া হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের তত্ত্বাবধানে ইউএসএআইডির অর্থায়নে নেচার কনজারভেশন ম্যানেজমেন্টের (নেকম) ইকো লাইফ প্রকল্পের কাছিম হ্যাচারিতে বাচ্চাগুলো ফোটানো হয়। ডিমগুলো ৬০ থেকে ৬৫ দিন হ্যাচারিতে রাখার পর ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে। কাছিমের বাচ্চাগুলো সমুদ্রে অবমুক্ত করার সময় অন্তত ৩০টি মারা যায়৷কাছিমের বাচ্চাগুলো সমুদ্রে অবমুক্ত করেন বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ও সমুদ্র বিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সারওয়ার আলম, নেকম-ইকো লাইফ প্রকল্পের উপ-প্রকল্প পরিচালক ড. শফিকুর রহমান প্রমুখ।নেকমের কক্সবাজারের ব্যবস্থাপক আবদুল কাইয়ুম জানান, কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের প্যাঁচার দ্বীপ, শীলখালী দ্বীপ ও শাহপরীর দ্বীপে ৩টি কচ্ছপের হ্যাচারিতে এ বছর ৭ হাজার ৫২৮টি ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। সৈকতের ৫৮টি স্পটে কচ্ছপ ডিম পেড়েছে। আরও কয়েক দিন ডিম দিতে আসবে কচ্ছপ। এর মধ্যে প্যাঁচার দ্বীপে ১৮টি কচ্ছপ দুই হাজার ৩০টি ডিম দিয়েছে, শীলখালীতে ৯টি কচ্ছপ ১ হাজার ২৩৯টি ও শাহপরীর দ্বীপে ৩১টি কচ্ছপ ৪ হাজার ২৫৯টি ডিম দিয়েছে।ধীরে ধীরে কাছিমের ডিম পাড়ার হার বাড়ছে বলে দাবি করেছেন নেকম-ইকো লাইফ প্রকল্পের উপ প্রকল্প পরিচালক ড. শফিকুর রহমান। তিনি জানান , গত তিন বছরের তুলনায় এ বছর কচ্ছপ ডিম বেশি দিয়েছে। ২০২২ সালে ৫৪টি স্পটে কচ্ছপ ডিম দিয়েছিল ৫ হাজার ৭৬৩টি। এর আগের বছর ২০২১ সালে ডিম দেয় ৪ হাজার ৭১৩টি। ডিম থেকে বাচ্চা ফোটানোর হার ৮৬ শতাংশ।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

জামালপুরে আন্তর্জাতিক নদী দিবস২০২৪ পালিত

সদর প্রতিনিধি জামালপুর: অদ্য ৫ অক্টোবর ২৪ জামালপুরে আন্তর্জাতিক নদী দিবস ২০২৪ ...