মাহফুজুল ইসলাম মন্নুঃ নড়াইলের লোহাগড়ায় কলেজ ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভে-অপমানে ওই ছাত্রী গত(১৬ এপ্রিল) শুক্রবার বিকালে নিজ বাড়িতে ফ্যানের হুকের সাথে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে । সংবাদ পেয়ে লোহাগড়া থানা পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে শনিবার সকালে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করে।
এ ঘটনায় আত্বহত্যা হননকারী ছাত্রীর পিতা বাচ্চু মিয়া লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করেন । জানা গেছে, উপজেলার মাইগ্রামের বাচ্চু মিয়ার মেয়ে এবং খুলনা বয়রা সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পাশ করেছে। আত্বহত্যা হননকারীর চাচাতো ভাই এ্যাডঃ এস এম আল মামুন জানান, উপজেলার পাঁচুড়িয়া গ্রামের শহিদুল থান্দারের ছেলে তাশরিফ থান্দারের সাথে মোবাইলের মাধ্যমে ওই ছাত্রীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
এক পর্যায়ে উভয়ের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক আপত্তিকর পর্যায়ে চলে যায়। তাশরিফ গোপনে তার আপত্তিকর ছবি মোবাইলে ধারণ করে বিভিন্ন সময় অনৈতিক মেলামেশার প্রস্তাব দেয়। এতে ওই ছাত্রী রাজী না হওয়ায় তাশরিফ তার কাছে থাকা আপত্তিকর ছবি ওই ছাত্রী এবং তার বান্ধবী কুলসুমের মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়।
গত কয়েকদিন পূর্বে ওই ছবি বান্ধবী কুলসুম ছাত্রীর সহোদর ভাই দাউদ শেখের মোবাইলে পাঠিয়ে দেয়। ছবির বিষয়টি পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের মধ্যে জানাজানি হয়। এমনকি ওই ছাত্রীর মা তার মোবাইল ফোন চেক করে আপত্তিকর ছবি দেখতে পেয়ে মেয়েকে বকাঝকা করে। এ ছাড়াও তাশরিফের মা ওই কলেজ ছাত্রীর বাড়ীতে যেয়ে ছাত্রীকে ও পরিবারের লোকজনকে বকাঝকা করে শাশিয়ে আসে। এক পর্যায়ে আপত্তিকর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং গ্রামবাসীসহ এলাকার সর্বসাধারনের মধ্যে জানাজানি হয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই ছাত্রী লোক লজ্জায় শুক্রবার বিকালে বাড়ীর নির্মানাধিন ভবনের সিলিং ফ্যানের রডের সাতে গলায় ওড়না পেছিয়ে আত্বহত্যা করে।
লোহাগড়া থানার ওসি শেখ আবু হেনা মিলন জানান, লাশের মরদেহ রাতেই উদ্ধার করে এবং শনিবার সকালে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন করা হয়। এ ঘটনায় আত্বহননকারী ছাত্রীর পিতা বাচ্চু মিয়া শনিবার রাতেই প্রেমিক তাশরিফকে আসামী করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১২। আসামী আটকের চেষ্টা চলছে।