নারী অধিকার নিয়ে উচ্চকণ্ঠ হওয়া আফগান নারীদের কেউ কেউ হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন। গত বুধবার রাতে কাবুলে এক নারী তাঁর বাড়িতে সশস্ত্র তালেবান সদস্যদের যাওয়ার খবর দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট করেন।
ভিডিও পোস্ট করা নারীর নাম তামানা জারাইবি পারিয়ানি। তিনি গত সপ্তাহে আরো কিছু নারীর সঙ্গে যোগ দিয়ে কাজ এবং শিক্ষার অধিকারের দাবিতে মিছিল করেন।
তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে মরিচের গুঁড়া ছুুড়েছিল তালেবান পুলিশ বাহিনী। বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেছেন, তাঁদের ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হয়েছে। ওই ঘটনার পর বিক্ষোভকারীরা বাড়ি ফিরে যান।
অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে তাঁদের অনুসরণ করা হচ্ছে। এরপর গত বুধবার রাতে কাবুলের পারওয়ান-২ এলাকায় তামানার বাড়িতে সশস্ত্র তালেবান সদস্যরা আসেন। তখন বাড়িতে শুধু তামানা এবং তাঁর কয়েকজন বোন ছিলেন।
অস্ত্রধারীরা দরজায় আাঘাত করতে থাকলে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক ভিডিও পোস্টে তামানা আকুতি জানিয়ে বলেন, ‘দয়া করে সহায়তা করুন। তালেবান আমার বাড়িতে এসেছে। আমার বোনেরাও বাড়িতে আছে। ’ ভিডিওতে তাঁকে আরো বলতে শোনা যায়, ‘আমরা এখন আপনাদের এখানে চাই না। আগামীকাল আসুন। আমরা কাল কথা বলতে পারি। ’
পরে ওই বাড়িতে গিয়ে তামানা বা তাঁর বোনদের কাউকে দেখা যায়নি। সদর দরজার সামনে ছিল বুটের ছাপ। প্রতিবেশীদের ভাষ্য, একদল সশস্ত্র লোক তাঁদের নিয়ে গেছে।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা সেনা প্রত্যাহারের পর গত বছরের ১৫ আগস্ট আফগানিস্তানের ক্ষমতায় ফিরেছে তালেবান বাহিনী। কট্টর ইসলামপন্থী এই বাহিনী তাদের আগের আমলের মতো না হলেও শিক্ষাসহ কিছু বিষয়ে এরই মধ্যে নারী অধিকারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ করেছে।
সংখ্যায় কম হলেও এর বিরুদ্ধে সরব হয়ে উঠেছেন কিছু নারী। তাঁদের একজন তামানা। তালেবান ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে আফগান নারীরা অভিযোগ করছেন, তাঁরা এখন নিজেদের ঘরেই বন্দি।