গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রতি বছর আগস্ট মাস এলেই আমরা শংকিত হই, আতঙ্কিত হই, বেদনার ক্ষত স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হয়।
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালে এ মাসের ১৫ আগস্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সদস্যদের নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে খালেদা জিয়া সরকারের সরাসরি তত্ত্বাবধানে গ্রেনেড হামলা করে ২৪ জন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল এবং কয়েকশ’ নেতাকর্মী গ্রেনেডের স্প্রিন্টার নিয়ে অত্যন্ত কষ্ট ও পীড়াদায়ক অবস্থার মধ্যে জীবনযাপন করছেন।
শুক্রবার বিকালে পিরোজপুর গোপাল কৃষ্ণ টাউন ক্লাব মাঠের স্বাধীনতা মঞ্চে এক অনুষ্ঠানে এ সব কথা বলেন মন্ত্রী।
গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, ‘৭১ সালের পরাজিত শত্রুরা হেরে গিয়ে তারা আবার শক্তি সঞ্চয় করে ‘৭৫ সালের ১৫ আগস্ট প্রতিশোধ নিতেই এ কালো অধ্যায় সৃষ্টি করে। যা সারা বিশ্বের মানুষকে অবাক ও বিস্ময় করে তোলে।
তিনি বলেন, ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। বিএনপি সরকারের সময় যদি বঙ্গুবন্ধু হত্যার বিচার পার্লামেন্টে করা হতো তাহলে খুনিরা এত উৎসাহ পেত না। কিন্তু খালেদার সরকার খুনিদের বিচারতো করলেনই না, বরং উল্টো বিচার রহিতকরণ বিল বা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ পার্লামেন্টে পাস করলেন। যা ছিল অত্যন্ত জঘন্যতম একটি কালো আইন।
জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধুর ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা এবং দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এতে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাজাহান খান তালুকদারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পৌরমেয়র হাবিবুর রহমান মালেক, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমএ হাকিম হাওলাদার, সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আ. রাজ্জাক খান বাদশা, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কানাই লাল বিশ্বাস, আক্তারুজ্জামান ফুলু, জিয়াউল আহসান গাজী, কামরুজ্জামান শামীম, খান মো. আলাউদ্দিন, গৌতম রায় চৌধুরী, জাহাঙ্গীর হোসেন নান্না পোদ্দার, মতিউর রহমান সরদার ও চান মিয়া মাঝি।
পরে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।