চাঁদপুরে বেপোরোয়া গতির আনন্দ বাসের চাপায় সুইটি (৮) নামে ২য় শ্রেণীর স্কুল শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে। ২৯ মে বুধবার বিকেল সাড়ে ৩টায় চাঁদপুর সদরের বাঘড়া বাজারের উত্তর পার্শ্বে সোবানপুর নামক এলাকায় চাঁদপুর-রায়পুর-লক্ষীপুর আঞ্চলিক সড়কে এ দূর্ঘটনা ঘটে। সুইটি সোবানপুর গ্রামের মিজি বাড়ির হতদরিদ্র দিনমজুর আব্দুল মান্নান মিজির মেয়ে। সে সোবানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থী। ঘটনার সাথে সাথে বাসের চালক পালিয়ে গেলেও বাসটিকে আটক করে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দন ঘটনার সত্যতা শিকার করে জানান, চাঁদপুর থেকে লক্ষ্মীপুরগামী আনন্দ বাসের (নোয়াখালী-ব-০৫-০০৫২) বেপরোয়া গতিতে চালিয়ে চাঁদপুর থেকে লক্ষীপুর যাওয়ার পথে শিশু সুইটিকে চাকায় পিষ্ট করে। ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। খবর পেয়ে আমরা বাসটি আটক করেছি এবং লাশ ময়না তদন্তের জন্যে মর্গে পাঠিয়েছি।
স্থানীয় মোহাম্মদ হোসেন জানান, সুইটি তার সম্পর্কিত চাচাতো বোন সুমাইয়াকে সাথে নিয়ে সুইটির মা অসুস্থ থাকায় তার দিন মজুর পিতা মান্নান মিজি তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য চাঁদপুর নিয়ে আসছিল। তখন সুইটি ও সুমাইয়া তাদেরকে গাড়ীতে তুলে দিতে রাস্তায় আসে। বাবা মাকে গাড়ীতে তুলে দিয়ে রাস্তা পারাপার হওয়ার সময় চাঁদপুর থেকে দ্রুতগামী আনন্দ বাসটি সুইটিকে চাপা দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় আনন্দ বাসটিকে ধাওয়া করে ধানুয়া এলাকা থেকে গাড়ীটিকে আটক করে এলাকায় নিয়ে আসে। বিক্ষুব্ধ জনতা আটককৃত বাসটিকে ভাংচুর করে। এই ঘটনায় সোবানপুর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। সড়ক দূর্ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ নাসিম উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত হারুনুর রশিদ, পুলিশ পরিদর্শক নিরস্ত্র আব্দুর রব, সঙ্গীয় সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে এসে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।