গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন করতে সীমানা সংক্রান্ত কোনো জটিলতা নেই বলে মন্ত্রণালয় দুই বার নিশ্চিত করেছিল বলে জানিয়েছেন একজন নির্বাচন কমিশনার।
সীমানা নিয়ে জটিলতার কারণে একটি রিট আবেদনে ভোটের নয় দিন আগে রাজধানী লাগোয়া জনপদে ভোট স্থগিত হওয়ার পর দিন সোমবার নির্বাচন কমিশমান সবিতা খানম গণমাধ্যম কর্মীদের মুখোমুখি হন।
যার রিট আবেদনে গাজীপুর সিটিতে ভোট তিন মাসের জন্য স্থগিত হয়েছে, তিনি এই জেলারই বাসিন্দা নন। তার বাড়ি ঢাকা জেলায়। সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ বি এম আজহারুল ইসলাম সুরুজ তার নাম।
সুরুজের আপত্তির কারণ জানিয়েছেন তার সবশেষ রিটের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান। তিনি জানান, ২০১৩ সালের ১৬ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার বিভাগ শিমুলিয়া ইউনিয়নের ডোমনা, দক্ষিণ বাড়ৈবাড়ী, পশ্চিম পানিশাইল, দক্ষিণ পানিশাইল, শিবরামপুর ও ডোমনাগ মৌজাকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করে।
তখনই আপত্তি জানান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজহারুল ইসলাম সুরুজ। স্থানীয় সরকার বিভাগ আপত্তি আমলে না নেওয়ায় ২০১৫ সালে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি। তখন আদালত তার আপত্তি নিষ্পত্তি করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করতে বলে।
২০১৬ সালে পুরনো সীমানা অনুযায়ী শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন হলে আজহারুল আবার জেতেন।
চলতি বছরের ৪ মার্চ নির্বাচন কমিশন আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী ওই ছয়টি মৌজাকে ফের গাজীপুর সিটির অন্তর্ভুক্ত করা হয়। আর ৩১ মার্চ ভোটের তফসিল দেয় নির্বাচন কমিশন।
গাজীপুরে সীমানা নিয়ে এত বড় একটা জটিলতা রয়েছে, সেটার মীমাংসা না করে কেন তফসিল হলো- এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার সবিতা খানম বলেন, ‘আমরা স্থানীয় সরকার থেকে ক্লিয়ারেন্স পাওয়ার পরই নির্বচনের তফসিল ঘোষণা করি।’
‘আমরা গাজীপুর সিটি নির্বাচনের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার থেকে দুইবার ক্লিয়ারেন্স নিয়েছি। তারা জানিয়েছে, সেখানে কোনো ধরনের জটিলতা নেই। তারা আমাদের নির্বাচন করতে বলেছে।’
তাহলে সিটি নির্বাচন স্থগিতের দায় কার- এমন প্রশ্নে কবিতা খানম বলেন, ‘দায় কার এটা বলার সুযোগ আমার নেই। তবে আমি বলতে পারি কমিশনের কোন গাফিলতি নেই।’
গাজীপুরের মতো খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনও স্থগিত হওয়ার কোনো আশঙ্কা আছে কি না, এমন প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘কোন সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি আদালতের কাছে যেতে পারে। আইন তাকে সে সুযোগ দিয়েছে। তবে অ্যাডভান্স বলা যাবে না।’
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচন স্থগিতের বিরুদ্ধে আবেদন কোন পর্যায়ে আছে, জানতে চাইলে কবিতা খানম বলেন, ‘যতটুকু জানি লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার জন্য হাইকোর্টে পাঠিয়েছে।’