আজ শনিবার ৫টায় উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে এই লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে আখাউড়ায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকি ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়ার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। অনুষ্ঠান শুরুর আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মনির হোসেন। এ অবস্থায় ওনার উপস্থিতি নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয়। এক পর্যায়ে মনির হোসেনের বিরুদ্ধে দলের শৃংখলাবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগ এনে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। কিন্তু তিনি না যাওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহবায়ক ও জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাসেম ভুইয়া, পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক তাকজিল খলিফা কাজলসহ আরো অনেকে কার্যালয় থেকে বেরিয়ে যান। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে বিকাল ৫টায় কয়েকজন এসে মনির হোসেনকে বের করতে উদ্যত হন। এ নিয়ে বাগবিতন্ডার এক পর্যায়ে মনির হোসেন লাঞ্ছিত হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে মো. মনির হোসেন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ‘কি কারণে আমার উপর কয়েকজন এভাবে চড়াও হয়েছে তা আমি বুঝতে পারছি না। আমি মন্ত্রীর (স্থানীয় সংসদ সদস্য) সঙ্গে নেই বলা হচ্ছে। কিন্তু এ কথাটি আদো সত্য নয়।’
আখাউড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ মো. জয়নাল আবেদীন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। তিনি জানান, দলীয় এ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা চলছে। ঘটনার পরও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠান শেষ হয় বলে দাবি করেন তিনি।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন তরফদার বলেছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। চেয়ারম্যান মনির হোসেনকে পুলিশ হেফাজতে তার বাড়িতে দিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।