ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ:
৭৭ বছর পর আবারও চালু হতে যাচ্ছে রাজশাহী থেকে কলকাতা নতুন ট্রেন সার্ভিস।
বাংলাদেশ আ’লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, রাজশাহী থেকে কলকাতা সরাসরি ট্রেন ও বিমান যোগাযোগ চালু করা আমার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির মধ্যে অন্যতম একটি প্রতিশ্রুতি।
এ পথে সরাসরি ট্রেন ও বিমান চালু করতে দীর্ঘদিন যাবত প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি। অবশেষে সেই কাঙ্খিত ট্রেন যোগাযোগ চালু হতে যাচ্ছে।
২২ জুন দিল্লিতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এর মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে এই রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন সার্ভিস চালুর ঘোষণা এসেছে। এই ট্রেন সার্ভিস চালু হলে রাজশাহী তথা উত্তরাঞ্চলের মানুষেরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন, বিশেষ করে যারা চিকিৎসা নিয়ে ভারতে যান, তারা ও তাদের স্বজনরা। আগামীতে রাজশাহী-কলকাতা সরাসরি বিমান চলাচল চালুর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে শুক্রবার (২১ জুন) দিল্লি সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিজেপি জোট টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার গঠনের পর ভারতে কোনো সরকার প্রধানের এটিই প্রথম দ্বিপাক্ষিক সফর।
শনিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে বৈঠক করেন শেখ হাসিনা। এই বৈঠকে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
অবিভক্ত বাংলায় ভারতের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ হয়ে রেলপথে কলকাতার সাথে রাজশাহীর যোগাযোগ ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত এবং পাকিস্তান পৃথক রাষ্ট্র গঠনের পর সেই যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে চিকিৎসা ও ভ্রমণসহ নানা কারণে রাজশাহী অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মানুষ ভারত যাচ্ছে। রাজশাহী-কলকাতা ট্রেন চালুর গুরুত্ব অনেক আগে থেকেই ছিল।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে জানিয়েছে, রাজশাহী-কলকাতা ট্রেনটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের রহনপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতের সিঙ্গাবাদ, মালদহ, ফারাক্কা, কাটোয়া, খাগড়াঘাট হয়ে কলকাতার হাওড়ায় রেলস্টেশনে পৌঁছাবে। এ রুটে কলকাতা যেতে ৪২৫ কিলোমিটার পথ দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে।
সময় লাগবে প্রায় ১১ ঘণ্টা। গেদে সীমান্ত দিয়ে ২১৫ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করে কলকাতা যেতে সময় লাগবে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা। তবে এখনও ট্রেনের রুট ঠিক হয়নি। এনিয়ে দুইদেশের রেল কর্মকর্তাদের বসতে হবে।