সর্বশেষ সংবাদ
Home / প্রচ্ছদ / ৫ দফা বাস্তবায়ন না হলে ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের আলটিমেটাম

৫ দফা বাস্তবায়ন না হলে ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের আলটিমেটাম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনায় চলমান আন্দোলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় ৫ দফা দাবির সুষ্ঠু বাস্তবায়ন না হলে ২২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য ভর্তি পরীক্ষা বন্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে মঞ্চ।

লিখিত বিবৃতিতে নেতারা বলেন, সিন্ডিকেট সভার সুষ্ঠু আয়োজনের লক্ষ্যে রেজিস্ট্রার ভবনে চলমান প্রতীকী অবরোধ কর্মসূচি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল থেকে বের করাসহ মাদক সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়ার দাবি বাস্তবায়নে প্রশাসনের গৃহীত পদক্ষেপ অপর্যাপ্ত ও অগ্রহণযোগ্য। প্রশাসনের রহস্যজনক নির্লিপ্ততা ও অবহেলার পরিপ্রেক্ষিতে নিপীড়নবিরোধী মঞ্চ চলমান ঘটনাবলির ওপর সার্বক্ষণিক নজর রাখছে এবং কঠোরতর আন্দোলন গড়ে তোলার প্রস্তুতি গ্রহণ করছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক সোহেল আহমেদ বলেন, ২০ তারিখের সিন্ডিকেট মিটিংয়ে যদি আশানুরূপ কোনো সিদ্ধান্ত না আসে তাহলে আমরা আমাদের আন্দোলন জারি রাখব এবং আন্দোলনের ফলে যদি ভর্তি পরীক্ষা ব্যাহত হয় তাহলে এর দায় প্রশাসনকে নিতে হবে। সিন্ডিকেটের অন্যতম সিদ্ধান্ত ছিল পাঁচ কর্ম দিবসের মধ্যে অছাত্রদের বের করবে এবং তাদের তালিকা প্রকাশ করবে। কিন্তু তারা আমাদের তালিকা দিতে পারেনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা এর আগেও বলেছি ধর্ষণকাণ্ডে সহায়তাকারীদের পলায়নের দায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর এড়াতে পারেন না। যেখানে র‌্যাব এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রশাসনকে দায়ী করেছেন সেখানে এই বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বোঝা উচিত। সংবাদ সম্মেলনে ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মাফরুহী সাত্তার, পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল বক্তব্য রাখেন। সংবাদ সম্মেলন থেকে আজ রোববার বেলা ১টায় বিক্ষোভ সমাবেশ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অমর একুশের সামনে নিপীড়কের কুশপুত্তলিকা দাহ করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

শাহবাগে সংহতি সমাবেশ : এদিকে আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে জাবির সাবেক শিক্ষার্থীদের আয়োজনে শাহবাগে শনিবার বিকালে সমাবেশ হয়। সমাবেশে বক্তারা ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান। নিপীড়নমুক্ত ক্যাম্পাস এবং পাবলিক হেল্থের ‘নিপীড়ক শিক্ষক’ মাহমুদুর রহমান জনির অপসারণ দাবি করা হয়। ধর্ষক ও নিপীড়কদের আশ্রয়দাতা প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রভোস্টের অপসারণের দাবি তোলা হয়। বক্তব্য রাখেন শরিফুজ্জামান শরিফ, নাসির উদ্দিন প্রিন্স, মাহী মাহফুজ, দীপক শিল, ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান, আলিফ মাহমুদ প্রমুখ।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

ঢাবিতে ছাত্রশিবিরের আত্মপ্রকাশকে স্বাগত জানালো ছাত্রদল সম্পাদক

  ঢা:বি: প্রতিনিধি: দীর্ঘদিন পরিচয় আত্মগোপনের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) প্রকাশ্যে এসেছে ...