সর্বশেষ সংবাদ
Home / তথ্য ও প্রযুক্তি / ৩ ও ১৫ দিনের ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজ বন্ধ

৩ ও ১৫ দিনের ইন্টারনেট ডেটা প্যাকেজ বন্ধ

তুমুল জনপ্রিয় হওয়া সত্ত্বেও শুধু ‘গ্রাহক স্বার্থ’ বিবেচনা করে বাদ দেওয়া হয়েছে তিন ও ১৫ দিন মেয়াদের ডাটা (ইন্টারনেট) প্যাকেজ। আজ থেকে নতুন এ নিয়ম কার্যকর হয়েছে।

জানা গেছে, মোবাইল গ্রাহকদের জন্য তিন ও ১৫ দিনের মোবাইল ইন্টারনেট প্যাকেজ আজ রবিবার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে গ্রাহকেরা তিন ও ১৫ দিনের প্যাকেজ কিনতে পারছেন না। নতুন নিয়মে ৭, ৩০ ও আনলিমিটেড এই তিন মেয়াদে সবোর্চ্চ ৪০টি প্যাকেজ প্রদর্শন করতে হবে মোবাইল অপারেটরদের। এর ফলে ইন্টারনেট ব্যবহারে ১০-১৫ টাকা খরচ বাড়ছে গ্রাহকের।

মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনের মাই জিপি অ্যাপে রবিবার সকালে দেখা যায়, তিন দিন মেয়াদের এক গিগাবিট (জিবি) ডাটার প্যাকেজ নেই। সাত দিন মেয়াদে তিন জিবি ডাটা কিনতে ব্যয় হবে ৯৮ টাকা এবং একই মেয়াদে ১০ জিবি নিলে দাম পড়বে ১৬৯ টাকা। তবে অ্যাপে এক দিনে ৫১২ মেগাবাইটের ২৮ টাকার প্যাকেজটি সেখানে দেখা গেছে।

ইন্টারনেট যাদের একেবারেই জরুরি, তারা বাড়তি ব্যয় করে ইন্টারনেট ব্যবহার করবেন। প্রয়োজন না থাকলেও অনেক মানুষকে বেশি মেয়াদের বেশি দামি প্যাকেজ কিনতে হবে। অপারেটরদের হিসাবে, মুঠোফোনে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ৬৯ শতাংশের বেশি ৩ দিনের প্যাকেজ ব্যবহার করেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) ইন্টারনেট প্যাকেজ সম্পর্কিত নতুন নির্দেশিকায় শুধু ৭ ও ৩০ দিন মেয়াদি প্যাকেজ রাখার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে থাকতে পারবে অনির্দিষ্ট মেয়াদের (আনলিমিটেড) প্যাকেজ। মোট ৪০টি প্যাকেজ দিতে পারবে অপারেটররা। এত দিন ৩, ৭, ১৫, ৩০ ও অনির্দিষ্ট মেয়াদের প্যাকেজ ছিল। অপারেটরগুলো মোট ৯৫টি প্যাকেজ দিতে পারত।

টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসি বলছে, গ্রাহক অসন্তোষ দূর করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এতে গ্রাহকের স্বার্থ রক্ষা পাবে।

বিটিআরসিরই এক উপস্থাপনায় দেখা গেছে, তিন মাসে মোবাইল অপারেটরগুলোর তিন দিনের ডাটা প্যাকেজে হিটের সংখ্যা ছিল ৩০ কোটি ৪৬ লাখ ১০ হাজার ২১৩টি, যা মোট ডাটা প্যাকেজে হিটের মধ্যে ৬৯ দশমিক ২৩ শতাংশ। তারপরও বিটিআরসি এটাকে গ্রাহক স্বার্থ হিসেবে অভিহিত করেছে।

এ বিষয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মোবাইল অপারেটররা ব্যান্ডউইথ কিনে তা ডাটা হিসেবে বিক্রি করে। ফলে তারা কস্ট (খরচ বা ব্যয়) কত, তা বের করতে পারেনি। তারা (অপারেটররা) আমাদের যে অ্যানালাইসিস দিয়েছে, তা একেকটা একেক রকম। ফলে আমরা তা গ্রহণ করিনি। এ কারণে মোবাইল ডাটার দাম আমরা মুক্তবাজার অর্থনীতিতে ছেড়ে দিয়েছি। প্রতিযোগিতা করে বিক্রি করো।’

তিনি আরও বলেন, ‘মোবাইল অপারেটররা ডাটার দাম ও মেয়াদ নিয়ে গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করে। প্রলভোনের মুলা ঝুলিয়ে রাখে। আমরা তা হতে দিতে পারি না। এ কারণে তারা যত দিন ডাটার কস্ট বের করে দিতে পারছে না, তত দিন মোবাইল ডাটার দাম এভাবেই নির্ধারিত হবে।’

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

প্রবাসে কোথায় আছেন? পরিবারকে জানাবে ইমো

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক : ‘শেয়ারিং ইজ কেয়ারিং’ এই ধারণা থেকে উদ্বুদ্ধ হয়ে সম্প্রতি ...