মোঃ রাকিব:
৩ আগস্ট শনিবার, সন্ধ্যা ৭ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলা শাহবাজপুর ইউনিয়নে মোড়াহাটি এলাকায় অষ্টম শ্রেণিতে অধ্যায়নরত এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে শাকিল মিয়া (২৪) পিতা, বাদশা মিয়া নামের এক যুবকের বিরূদ্ধে (গত ৮ই আগস্ট) আদালতে (পি-১৬৯) মামলা করেছেন ছাত্রীর পিতা রাসেল মিয়া। ঘটনার পর থেকেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় শাকিল মিয়া।
ভুক্তভোগি ও সাক্ষীগণ বলেন,
শাহবাজপুর গ্রামের একটি সৈয়দা হোসেনা আফজাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণিতে পড়ছে ছাত্রীটি। মোড়াহাটি এলাকায় নানার বাড়িতে মা সহ বসবাস করছে তারা। একই এলাকার প্রভাবশালী বাদশা মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যালয়ে যাওয়া আসার পথে ছাত্রীটিকে উত্ত্যক্ত করত।
প্রথমে প্রেম ও পরে বিয়ের প্রস্তাব দিলে প্রত্যাখ্যান হয় করে তার বাবা-মা। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রীকে কু-প্রস্তাব দেয়। বিষয়টি ছাত্রী তার বাবা-মাকে জানিয়ে দেয়। আরও ক্ষিপ্ত হয় শাকিল। ৩ আগস্ট শনিবার সন্ধ্যার পর ছাত্রী একই এলাকায় তার বান্ধবির বাড়িতে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে পূর্ব থেকে ওৎপেতে থাকা শাকিল ছাত্রীর গতিরোধ করে। নিস্তব্ধ জায়গা দেখে আটকে ছাত্রীটিকে শাকিল বলে তার মা তাকে তাদের বাড়িতে যাওয়ার জন্য বলেছে, যেতে না চাইলে, ডেগার দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে জিম্মি করে নিয়ে যায়। পরে বাড়িতে গিয়ে দেখে তার মা বাড়িতে নাই। পরে ছাত্রীটিকে নিজের ইচ্ছার বিরূদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
ওদিকে দীর্ঘ সময় পরও বাড়ি না ফেরায় ছাত্রীকে খুঁজতে বের হয় পরিবার ও আত্মীয় স্বজনরা। জাহিদ মিয়া নামের এক ব্যক্তি ওই ছাত্রীকে শাকিলদের বাড়ির পাশের সড়ক দিয়ে হেঁটে যেতে দেখার কথা জানান। তারা সন্দেহের বশবর্তী হইয়া শাকিলের বাড়িতে গিয়া আওয়াজ দিয়ে প্রবেশ করা মাত্র শাকিল একটি কক্ষ থেকে উলঙ্গ অবস্থায় দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। ওই কক্ষের খাটের উপর থেকে বিবস্ত্র অবস্থায় ছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়।
পরে স্থানীয় সর্দাররা আপোষ রফার কথা বললেও পরবর্তীতে উল্টে যায় ধর্ষক ও তার পরিবার। দেশের পরিস্থিতি খারাপ হওয়ায় পুলিশ শুন্য থানায় মামলা করতে পারেননাই ছাত্রীর পিতা রাসেল মিয়া। তাই বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন।
ছাত্রীর পিতা মাতা ও নানা বলেন, অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। দেশের প্রচলিত আইনও তো এটাকে সমর্থন করে না। এটা কি আমাদের অপরাধ? এরপর দিয়েছে কু-প্রস্তাব। ব্যর্থ হয়ে শিশু বাচ্চাটিকে ধর্ষণ করে জীবন ধ্বংস করে দিয়েছে। পড়ালেখা বন্ধ, আমাদের মানসম্মান ইজ্জত সব শেষ। আমরা এখন লম্পট ধর্ষক শাকিলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।
এই বিষয়ে ধর্ষক শাকিলের বাড়িতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও গণমাধ্যম কর্মীরা গেলে তার মা বলেন, আমার ছেলে শাকিল বাড়িতে নেই, আমার ছেলে কোনো দোষ করেননি। এলাকার একটি ফুটবল খেলায় ঝামেলা করে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে।
তারা আদালতে মামলা করেছে আমরা আদালতে উকিল দিয়ে কথা বলবো। তারা কি করতে পারে আমরা দেখবো? আপনাদের কাছে তারচেয়ে বেশি কিছু বলতে চাইনা।
তার বাবা বাদশা মিয়া বলেন, শাকিল আমার ছেলে না তার মায়ের আরেকটি স্বামী আছে, তার নাম বিল্লাল মিয়া সে তার সন্তান। আর এই সম্পর্কে আমি কোনো কিছু জানিনা। পরে ধর্ষক শাকিলের সাথে ফোনে যোগাযোগ করতে চাইলে সে ফোন রিসিভ করেনি।
আদালত মামলাটির তদন্ত করার জন্য জেলা গোয়েন্দা পুলিশকে দায়িত্ব দিলে তারা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণ হওয়া সততা পাওয়ার পরেও প্রায় ১মাস হয়ে অতিবাহিত হলেও ধর্ষক শাকিল াটক হয়নি। এখন পর্যন্ত রিপোর্ট দিতে পারেনি সিআইডি। শুনা গিয়েছে ধর্ষক শাকিল ভিসা টিকেট সব কিছু রেডি, যে কোনোদিন প্রবাসে চলে যাবে।
মেয়েটির বাবা রাসেল মিয়া কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন এখন যদি লম্পট ধর্ষক শাকিল পালিয়ে প্রবাসে চলে যায় তখন আমার মেয়ের বিচার কি ভাবে হবে আর আমার মেয়ের দায়ভার কে নিবে? সিআইডি রিপোর্ট দিতেও যদি ১মাস সময় লাগে। তাহলে আমরা আর কার কাছে যাব।
আমি মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা, সমন্বয়ক ও প্রশাসন, মিডিয়া এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার এর কাছে ধর্ষক প্রবাসে যাওয়ার আগে দৃষ্টান্তমূলক বিচার করার জন্য অনুরোধ করছি।