সর্বশেষ সংবাদ
Home / জাতীয় / ১১ ঘণ্টার চেষ্টার পর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান উদ্ধার

১১ ঘণ্টার চেষ্টার পর বিধ্বস্ত প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান উদ্ধার

 

বিডি বাংলাঃ

১১ ঘণ্টা পর চট্টগ্রাম নগরের পতেঙ্গা এলাকার কর্ণফুলী নদীতে বিধ্বস্ত বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি উদ্ধার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে কর্ণফুলী থানার জুলধা মাতব্বর ঘাট সংলগ্ন এলাকার নদী থেকে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার করা হয়। এর আগে একই দিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

এর আগে সন্ধ্যায় নদীর তলদেশে বিমানটি শনাক্ত করে নৌবাহিনীর ডুবুরি দল। বিধ্বস্তের পর থেকেই কর্ণফুলী নদীতে বিমানটির খোঁজে নামে নৌবাহিনী। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর ম্যানুয়াল এ দুই পদ্ধতি ব্যবহার করেই খোঁজা হয় বিমানটি।

প্রশিক্ষণ বিমানটিতে দুইজন বৈমানিক ছিলেন। তারা হলেন- উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ। দুর্ঘটনায় পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পতেঙ্গার বানৌজা ঈসা খাঁ হাসপাতালে (নেভি হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় ওই পাইলটের। চট্টগ্রাম সদরঘাট নৌপুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. একরাম উল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, বিমানে আগুন ধরার পর বড় ধরনের কোনো ক্ষতি এড়ানোর জন্য দুই পাইলট দক্ষতা ও সাহসিকতার সঙ্গে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা থেকে জনবিরল এলাকায় যেতে সক্ষম হন।

এতে আরও বলা হয়, বিমান বাহিনীর একটি ইয়াক-১৩০ প্রশিক্ষণ বিমান নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে এদিন সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের দিকে চট্টগ্রামের বিমান বাহিনীর ঘাঁটি জহুরুল হক থেকে উড্ডয়ন করে। পরে প্রশিক্ষণ শেষে ফেরার সময় বিমনাটি কর্ণফুলী নদীর মোহনার কাছে দুর্ঘটনার শিকার হয়।

দুর্ঘটনার সময় বৈমানিক উইং কমান্ডার মো. সোহান হাসান খান ও স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদ জরুরি প্যারাসুটের মাধ্যমে বিমান থেকে নদীতে অবতরণ করেন।

পরে তাদের বাংলাদেশ বিমানবাহিনী ও নৌবাহিনীর উদ্ধারকারী দল এবং স্থানীয় জেলেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উদ্ধার করা হয়। দুই বৈমানিকের মধ্যে স্কোয়াড্রন লিডার মুহাম্মদ আসিম জাওয়াদের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে তাৎক্ষণিক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনএস পতেঙ্গায় নেয়া হয়।

পরে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এদিকে, ঘটনার পর বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নানের নির্দেশে দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে বের করতে উচ্চপর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

অন্যদিকে, আইএসপিআর থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান মরহুম বৈমানিকের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।

একইসঙ্গে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সংলাপ আজ : আলোচনায় সংস্কার ও নির্বাচনি রোডম্যাপ

  সদরুল আইন: অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের ...