সর্বশেষ সংবাদ
Home / অন্যান্য / সুনামগঞ্জে তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ফুফু চাচাসহ কারাগারে-৭

সুনামগঞ্জে তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে ফুফু চাচাসহ কারাগারে-৭

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি::

সাত বছরের শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তে সাত বছরের শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ফুফু,ফুফুর জামাতা,শশুড় ও দুই চাচাসহ সাতজনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।,

রবিবার দুপুরে তাহিরপুর থানার ওসি মো.আতিকুর রহমান সন্দেহভাজন সাত আসামীকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে প্রেরণের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।,

কারাগারে প্রেরণকৃতরা হলেন,উপজেলার শ্রীপুর উওর ইউনিয়নের চারাগাঁও’র সীমান্তগ্রাম বাঁশতলার কালামিয়ার ছেলে নিহত শিশু তোফাজ্জল হোসেনের ফুফা সেজাউল কবির, মৃত আব্দুস ছোবানের ছেলে সেজাউলের পিতা কালা মিয়া,সেজাউলের স্ত্রী (নিহতের ফুফ)ু শিউলি আক্তার, একই গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান হবি,তার ছেলে সারোয়ার হাবিব রাসেল, জয়নাল আবেদীনের দুই ছেলে (নিহতের চাচা),লোকমান হোসেন ও সালমান হোসেন।,

এর পুর্বে শিশু তোফাজ্জল হোসেনকে অপহরণ করত হত্যাকান্ডের অভিযোগ এনে তার পিতা জুবায়ের হোসেন বেশ কয়েকজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে শনিবার গভীর রাতে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।,

প্রসঙ্গত, নিখোঁজের চার দিন পর শনিবার ভোররাতে তাহিরপুর সীমান্তে সিমেন্ট’র বস্তায় বন্দি অবস্থায় তোফাজ্জল হোসেন (৭) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।,

নিহত তোফাজ্জল উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের জুবায়ের হোসেনের ছেলে ও প্রথম শ্রেণিতে পড়–য়া স্থানীয় মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।,

গত বুধবার বিকেলে (৮) জানুয়ারী শিশূ তোফাজ্জল নিজ গ্রাম হতে নিখোঁন হলে পরদিন বৃহস্পতিবার পরিবারের পক্ষ হতে থানায় বিষয়টি লিখিত ভাবে জানানো হয়।,

নিহত তোফাজ্জল হোসেনের পরিবারের অভিযোগ, অপহরণের পর চিরকুট লিখে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করার পর মুক্তিপণ না দেয়ায় তোফাজ্জলকে হত্যা করা হয়। আর এবার হত্যার অভিযোগে নিহত তোফাজ্জলের ফুফু শিউলি আক্তারের শ্বশুর কালা মিয়া ও জামাই সেজাউল কবিরের প্রতি।,

এরপর শনিবার লাশ উদ্ধারের পর শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহে থানা পুলিশ দাদা-চাচা ও ফুফু-ফুফুর জামাই, প্রতিবেশীসহ দু.দফায় ৯ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।

জানা গেছে, মামলায় কারাগারে প্রেরণকৃত সন্দেহভাজন আসামী উপজেলার বাঁশতলার কালা মিয়ার ছেলে অপর সন্দেহভাজন কারাগারে থাকা সেজাউল কবিরের সঙ্গে নিহত শিশু তোফাজ্জলের ফুফু শিউলি আক্তারের বিয়ে হয়। নিহতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ বিয়ের পরে শিউলিকে নির্যাতন করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হয়।

এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে পূর্ব বিরোধ ও মামলা-মোকদ্দমা চলাকালীন অবস্থায় গত বুধবার নিখোঁজ হন শিশু তোফাজ্জল। এরপর তোফাজ্জলের পরিবারের অভিযোগের আঙ্গুল তুলেন কালা মিয়া ও তার ছেলে সেজাউলের প্রতি।,

মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা থানার ওসি (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, শিশু তোফাজ্জল অপহরণ ও হত্যাকান্ডের মামলায় সন্দেহভাজন সাত আসামীকে রবিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করে প্রত্যেক আসামীকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ হতে দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেছি।,

মামলাটি খুব জঠিল হলেও রিমান্ডে এনে আসামীদের পুন:রায় জিজ্ঞাসাবাদে আশা করি খুব শ্রীঘ্রই এ শিশু অপহরণ ও হত্যা রহস্য উন্মোচিত হবে বলে জানা তদন্তকারী এ পুলিশ কর্মকর্তা।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

মাদারীপুরে সরকারি চাকরি থেকে কোটা বাতিলের দাবিতে সড়ক অবরোধ

কাজল খান – মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি:: সরকারি চাকরি থেকে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ...