সর্বশেষ সংবাদ
Home / অর্থনীতি ও বানিজ্য / সাত মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক বেড়েছে দেড় কোটি

সাত মাসে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক বেড়েছে দেড় কোটি

সাত মাসের ব্যবধানে দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯৫টি। জানুয়ারি শেষে নিবন্ধিত হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ১৩৭টি। গত বছরের জুন শেষে যার সংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪২টি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ১৩৭টি। এর আগে গত বছরের জুন শেষে হিসাব সংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪২টি। অর্থাত্ আলোচিত এই সাত মাসে হিসাব বেড়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯৫টি। এদিকে গত ডিসেম্বর শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত হিসাবের সংখ্যা ছিল ১৯ কোটি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩টি। অর্থাত্ এক মাসের ব্যবধানে এ ধরনের হিসাব বেড়েছে ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি। এর মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ১০৯ জন। অপরদিকে নারী গ্রাহক ৮ কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৩ জন। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৯ হাজার ১১২ জন।

অতিদ্রুত শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে সর্বত্রই টাকা পাঠানোর সুযোগ তৈরি হওয়ায় মোবাইল ব্যাংকিং দেশের ব্যাংকিং সেবায় নতুন সম্ভাবনা এনে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিতে বিরাট এক গতি সঞ্চার করেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এই সেবা। একই সঙ্গে নতুন কর্মসংস্থান যোগ হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিনের লেনদেন ছাড়াও বিদ্যুত্, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ করা যায়, করা যায় কেনা কাটা। সেবামূল্য পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, প্রবাসী আয় পাঠানোসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন পছন্দের শীর্ষে। কম খরচ ও দ্রুত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টাকা পাঠাতে প্রতিদিনই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য হিসাব খুলছেন বিপুলসংখ্যক গ্রাহক। প্রতিমাসেই বাড়ছে গ্রাহকসংখ্যা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাত্ জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছিল ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। আগস্ট মাসে কিছুটা কমে লেনদেন হয়েছিল ৮৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। এর পরের মাস সেপ্টেম্বরে ৮৭ হাজার ৬৩৫ কোটি, অক্টোবরে ৯৩ হাজার ১৩ কোটি, নভেম্বরে ৯২ হাজার ১২৫ কোটি এবং ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিল ৯৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১ লাখ ৬৯৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) জানুয়ারি মাসে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ২৮ হাজার ৮৯৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ২ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা। এছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ১ হাজার ৯৬১ কোটি টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনাকাটায় ৩ হাজার ৭৭২ কোটি টাকা লেনদেন হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংসেবা চালু করে বিকাশ। এছাড়াও নগদসহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা দিচ্ছে।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে কারখানা বন্ধের অপচেষ্টা: শিল্প উপদেষ্টা

  স্টাফ রিপোর্টার: দেশের অর্থনীতিকে বিপদে ফেলতে কারখানা বন্ধ রাখার অপচেষ্টা হচ্ছে ...