সদরুল আইনঃ
গাজীপুরের শ্রীপুরে এখানকার আওযামী লীগ প্রতিষ্ঠার অন্যতম পথিকৃত,আজের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধা বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আলহাজ মিজানুর রহমান খানের ২২ তম শাহাদাত বার্ষবকী উদযাপিত হয়েছে।
২০০২ সালের ১৩ মে স্বৈরাচার বিরোধী শ্রীপুর আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠার অন্যতম পথিকৃত,২৬ বছর যিনি এই উপজেলার সভাপতি, সাধারন সস্পাদক ও দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন সেই দানবীর শিক্ষানুরাগী মিজানুর রহমান খান এই পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেন।
বৈরাগীরচালা উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মিজানুর রহমান খান খান মহিলা ডিগ্রী কলেজ,রেজিস্ট্রি অফিসসহ দেশের ৩০ জেলায় তিনি বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,মাদরাসা, মসজিদ,এতিমখানা, দাতব্য চিকিৎসালয়ের জমিদাতা।এমনকি জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি জমি দান করে তার শিক্ষানুরাগীতার অনন্য আদর্শের সাক্ষর রেখে গেছেন।
১৯৮৩ সালে ব্রিটেনের রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ তার আমন্ত্রণে স্বনির্ভর গ্রাম বৈরাগীরচালা ভ্রমনে আসেন এবং এখানকার শ্যামল প্রকৃতি,গ্রামীন জনপদের নিরেট জীবন উপাখ্যানের বাস্তব চিত্র দেখেখে অভিভূত হন।রাণীর আগমনে বিশ্বসভায় জায়গা করে নেয় বৈরাগীরচালা।ইতিহাসের অনবদ্য অংশ হয় এই গ্রামটি।
১৯৮৪ সালে আজকের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধ শেখ হাসিনা তার বাড়িতে আসেন অতিথি হয়ে।নিজ হাতে গাছ থেকে আম পেড়ে খান।তার বাড়িতে গ্রামীন জনপদে অবস্থান করেন।আওয়ামী লীগকে ভালবেসে তিনি এরশাদ সরকারের মন্ত্রীত্ব পর্যন্ত গ্রহন করেননি।
গতকাল ছিল এই বরেণ্য মানুষটির প্রয়ান দিবস।এ উপলক্ষে তার প্রতিষ্ঠিত বৈরাগীরচালা উচ্চ বিদ্যালয়, কলেজটিতে নানা আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়।পারিবারিকভাবেও কোরআনখানি, মিলাদ মাহফিল,বিশেষ দোয়া কবর জিয়ারত অনুষ্ঠিত হয়।মরহুমের জীবন কর্ম ও রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক তুলে ধরে আলোচনা করা হয়। আর এসব আয়োজনের মধ্যমণি ছিলেন তার সুযোগ্য উত্তরসূরী রাজনৈতিক ও বিশিষ্ট ব্যবসায়িক আলহাজ এ,কে,এম সাখাওয়াত হোসেন খান।