শেরপুর প্রতিনিধি::
শেরপুরের চাঞ্চল্যকর গৃহবধূ নার্গিস হত্যার আসামি মোঃ আলিমুল ইসলামকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (৩ জুলাই) তাকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে শেরপুর সদর থানা পুলিশ। আলিমুল সদর উপজেলার বৃষ্ণপুর গড়িপাড়া গ্রামের মোঃ সামিদুল হকের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শেরপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ খোরশেদ আলম। ব্রিফিং তিনি জানান
নার্গিস বেগম হত্যার ঘটনাটি ঘটে ২০২৪ সালের গত ৩০ শে জুন।। আসামি মোঃ আলিমুল ইসলাম তার (নার্গিস বেগম) ঘরে রাখা টাকা চুরি করতে গিয়ে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায়।
তিনি আরো জানান, নার্গিস বেগমের ছেলে মোঃ রাকিব হোসেন প্রকাশ (২৫) ব্যাংক থেকে ২ লাখ ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করে তার ঘরে রেখেছেন এই তথ্যটি জানতো আসামি আলিমুল। আলিমুল ইতিপূর্বে পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিভিন্ন চুরির ঘটনা ঘটিয়েছে।
বাদী তার মাকে বাড়িয়ে রেখে গত ২৭/০৬/২০২৪ তারিখ বিকাল অনুমান ৫.৩০ ঘটিকার সময় স্ত্রী সন্ত্রাসসহ তার কর্মস্থল টাঙ্গাইলে যান। সুযোগ বুঝে ওইদিন রাতেই আসামি বাদীর ঘরে ঢুকে ট্যাঙ্কের তালা ভেঙ্গে উক্ত টাকা চুরি করার চেষ্টা করে। মৃত নাগিস বেগম তালা ভাঙ্গার শব্দ শুনে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে বের হন। তিনি টর্চের আলোতে আলিমুলকে দেখে চিনতে পারেন। ফলে আলিমুল নার্গিস বেগমকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরি দিয়ে আঘাত করে দ্বার জখম করে।
ঐ অবস্থায় নার্গিস বেগমের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে নিয়া ভর্তি করেন। পরে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি ২৯/০৬/২০২৪ ভারিখ রাতে মৃত্যুবরণ করেন।
এ বিষয়ে নিহতের ছেলে মোঃ রাকিব সদর থানায় মামলা করেন। এদিকে আলিমুল গাজীপুর, ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটিসহ বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপনে ছিলো। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় আসামির অবস্থান চিহ্নিত করে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর খানার এসআই (নিঃ) খন্দকার সালেহ আবু নাঈম এবং এলআইসি শাখার এসআই (নিঃ) মোহাম্মদ আশিকুর রহমানসহ শেরপুর পুলিশের একটি চৌকস টিম অভিনন্দন চালিয়ে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া মডেল থানা এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করে।