সর্বশেষ সংবাদ
Home / বিনোদন / লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন ধর্ষিত বিশ্বসুন্দরী

লোমহর্ষক বর্ণনা দিলেন ধর্ষিত বিশ্বসুন্দরী

যৌন নিপীড়ন সমাজে একটি ব্যাধি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কর্মস্থল থেকে শুরু করে নিজ ঘরে পর্যন্ত যৌন হেনস্থার শিকার হচ্ছেন অনেকে। শুধু তাই নয়, প্রতিনিয়ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছে শিশু, কিশোরী থেকে যুবতী, বয়স্ক নারী। এরা মানুষ রুপী সমাজের গুটি কয়েক নরপশুর লালসার শিকার হচ্ছেন। আর এ বিষয় নিয়ে মুখ খুললেন মার্কিন বিশ্বসুন্দরী অলিভিয়া জর্ডান।

মিস ইউএসএ-২০১৫ খেতাব জয়ী অলিভিয়া জর্ডান ‘#মি টু’ আন্দোলনে যুক্ত হয়েছেন। নিজের ইন্সটাগ্রাম অ্যাকাউন্টে এক পোস্টের মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন, শিশু বয়সে যৌন নিপীড়নের শিকার ও কৈশোরে ধর্ষিত হয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি আমেরিকার আলাবামার গর্ভনিরোধক আইন পাসের প্রতিবাদে এ তথ্য জানান তিনি। গর্ভনিরোধক আইন তার জন্য এবং তার মতো পরিস্থিতির শিকার হওয়া মেয়েদের ওপর রীতিমতো নতুন আঘাত করেছে বলেও মনে করেন এই বিশ্বসুন্দরী।

৩০ বছর বয়সী অলিভিয়া লিখেন, ‘আমি নতুন নীতিমালা সূক্ষ্মভাবে দেখেছি। এটা নারী দেহের ওপর সরাসরি আঘাত। এ ক্ষেত্রে আমার সম্মতি ছাড়াই আমাদের দেহের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। বহু বছর আগে যে কারণে আমার দেহ ও মন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল, সেই ট্রমা থেকে আমি এখনও বেরিয়ে আসতে পারিনি। অপরাধের বিচারে ধর্ষণ করা এবং গর্ভপাত একই তালিকায় পড়তে পারে। কিন্তু আমার কাছে মনে হয়েছে, এই আইনও একই ধরনের।’

এই বিশ্বসুন্দরী বলেন, ‘যে মানুষগুলো গর্ভনিরোধী বার্তা দিতে চাইতেন তাদের রীতিমতো ভয় পেতাম আমি। অতীতের এ ধরনের অভিজ্ঞতাই আমাদের মানসিকতা তৈরি করে দিয়েছে। গর্ভনিরোধী বার্তা আসলেই আমি ক্ষুব্ধ হয়ে পড়তাম। ওই সময়টাতে আমার যেমন লেগেছিল তা ভেবে আমি এখনো আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ি।’

অলিভিয়া প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘আমি জানতে চাই গর্ভপাত কেন আপনার কাছে ভীতিকর? একটি ক্যাথলিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি। যৌন সংক্রান্ত শিক্ষা অর্জনে আমাদের নিরুৎসাহিত করা হয়। আমি গর্ভপাতের প্রক্রিয়াটি দেখেছি। এ বিষয়ে আমি গবেষণা করেছি।’

অলিভিয়া আরও জানান, নিজের এই মতামত ও বিশ্বাস অন্যের ওপর চাপাতে চান না তিনি। মার্কিন এই সুন্দরী আশা করেন, যারা গর্ভপাত নিরোধ আইনের বিপক্ষে তারাও একই চিন্তা করবেন।

তিনি কখনো চান না এমন অসহনীয় পরিস্থিতিতে অন্য কোনো নারী পড়ুক, যার শিকার অলিভিয়া নিজে। তিনি নারীদের এই আইন নিয়ে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করার অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু তার অনুরোধ, কেউ যেন আইনের সমর্থনে সোচ্চার না হয়।

অলিভিয়া জর্ডান বলেন, যখন নারীরা নিজেদের অনুমতি ব্যতিরেকে পুরুষদেরই নারীদেহ নিয়ে আইন প্রণয়নের সিদ্ধান্ত দেয়, তখন আমি নিজেই বার বার মানসিক আঘাতের শিকার হই।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

গোপনে বিয়ে সেরেছিলেন সালমান-ঐশ্বরিয়া?

  বিনোদন ডেস্ক: বলিউডে একের পর এক নায়ক বিয়ে করে ফেলছেন। প্রত্যেক ...