সর্বশেষ সংবাদ
Home / কৃষি / লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৫০০ হেক্টর বেশি চাষের সম্ভাবনা

লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৫০০ হেক্টর বেশি চাষের সম্ভাবনা

মিরসরাইয়ে লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৫০০ হেক্টর বেশি বোরো চাষের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যদিও ধানের বাজার মূল্য কম এবং সেচ খরচ বেশি হওয়ায় চাষে ভাটা পড়েছিল। এছাড়া শতাধিক স্কিম বন্ধ হওয়ায় চাষ কমে গিয়েছিল। তবে চলতি বছর লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে বেশি চাষ হবে বলে জানায় কৃষি অফিস।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ১১৬০ হেক্টর বোরো চাষের লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছিল। এরই মধ্যে ১০০ হেক্টর বীজতলা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রতি হেক্টর বীজতলায় চাষ হবে ১৬ হেক্টর জমি। হিসাব মতে, ১০০ হেক্টর বীজতলায় ১৬০০ হেক্টর জমি চাষ হবে।

কৃষি অফিস আরও জানায়, উপজেলার ১৬টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভায় ১৪০টি পানির স্কিম দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি)। যা দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে এখানকার কৃষকেরা বোরো ও বিভিন্ন শাক-সবজির চাষ করে থাকে। বিনিময়ে বিএডিসি নির্দিষ্ট একটি পানির কর নিয়ে থাকে। কিন্তু ১৪০টি স্কিমের মধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় ১০০টি। ফলে অনেক ইউনিয়নের পানি সংকটে বোরো চাষ করতে পারছেন না কৃষকেরা।

এদিকে মিরসরাইয়ে শতাধিক সেচ স্কিম বন্ধ হওয়ায় বোরো চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন কৃষকেরা। তবে উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের মহামায়া সেচ প্রকল্পের কারণে ওই ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়ে থাকে। ওই ইউনিয়নে চলতি বছর সাড়ে ৪০০ হেক্টর জমিতে বোরো চাষ হবে বলে জানায় কৃষি অফিস।

দূর্গাপুর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা মুক্তার হোসেন বলেন, ‘মহামায়া সেচ প্রকল্পের কারণে দূর্গাপুর ইউনিয়নের কৃষকেরা উপকৃত হচ্ছেন। আগের চেয়ে আমাদের ইউনিয়নে ফসল ও সবজি উৎপাদন বেড়েছে।’

উপজেলার একাধিক কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বোরো চাষে সেচের প্রয়োজন হয়। তাই খরচ বেশি পড়ে। কিন্তু খরচের তুলনায় ধানের বাজার মূল্য কম হওয়ায় তারা বোরো চাষ করছেন না। কৃষকদের হিসাব মতে, এক শতক জমিতে বোরো চাষ করতে খরচ হয় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা। কিন্তু এক শতকের ধান চাষ হয় মাত্র ১২ থেকে ১৫ কেজি। যার বাজার মূল্য মাত্র ১৫০-১৬০ টাকা।

উপজেলা সহকারী কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা কাজী নুরুল আলম বলেন, ‘চলতি বছর লক্ষ্য মাত্রার চেয়ে ৫০০ হেক্টর বেশি জমিতে বোরো চাষ হয়েছে। বোরো চাষে খরচ বেশি। তাই অনেক কৃষক বোরো চাষ করতে চান না। এছাড়া অনেক স্কিম বন্ধ হয়ে গেছে।’

মিরসরাই উপজেলা চেয়ারম্যান জসিম উদ্দিন বলেন, ‘মহামায়া সেচ প্রকেল্পর কারণে দূর্গাপুর ইউনিয়ন সহ এর আশেপাশের এলাকায় বোরো চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে। এক সময় যেসব জমি চাষ হতো না, এখন মহামায়া সেচ প্রকল্পের পানি ব্যবহার করে অনাবাদি জমি গুলো চাষ হচ্ছে। ফলে উপকৃত হচ্ছেন কৃষকেরা।’

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

শেরপুরের শ্রীবরদীতে মসলার উন্নত জাত ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রকল্পের আওতায় কৃষি মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

শেরপুর প্রতিনিধি “কৃষিই সমৃদ্ধি” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেরপুরের শ্রীবরদীতে ২০২৩-২৪ অর্থ ...