সর্বশেষ সংবাদ
Home / ধর্ম / রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেওয়াও ইবাদত

রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেওয়াও ইবাদত

কোনো মুসলমানকে কথা বা কাজে কষ্ট দেওয়া পাপ। হাদিস শরিফে এসেছে, রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, (প্রকৃত) মুসলিম ওই ব্যক্তি, যার জিভ ও হাত থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদে থাকে। (বুখারি, হাদিস : ৬৪৮৪)

এমনকি পথে চলাকালেও কাউকে কষ্ট দেওয়া যাবে না। যদিও অন্যকে কষ্ট দেওয়া যেকোনো সময়ে হারাম। রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক বস্তু সরিয়ে দেওয়াও ইবাদত। (বুখারি, হাদিস : ২৫১৮)

মুসলমানকে কষ্ট দিতে আল্লাহ নিষেধ করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘অপরাধ না করা সত্ত্বেও যারা মুমিন পুরুষ ও নারীদের কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে।’ (সুরা : আহজাব, আয়াত : ৫৮)

মুমিনকে কষ্ট দেওয়া নিষেধ ঘোষণা করে রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে ওই জামাত! যারা মুখে ইসলাম কবুল করেছ, কিন্তু অন্তরে এখনো ঈমান প্রগাঢ় হয়নি।

তোমরা মুসলমানদের কষ্ট দেবে না, তাদের লজ্জা দেবে না এবং তাদের গোপন দোষ অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হবে না। কেননা যে ব্যক্তি তার মুসলিম ভাইয়ের গোপন দোষ অনুসন্ধানে নিয়োজিত হবে আল্লাহ তার গোপন দোষ প্রকাশ করে দেবেন। আর যে ব্যক্তির দোষ আল্লাহ প্রকাশ করে দেবেন তাকে অপমান করে ছাড়বেন, সে তার উটের হাওদার ভেতরে অবস্থান করে থাকলেও।’ (তিরমিজি, হাদিস : ২০৩২)

মানুষকে প্রধানত কথা ও কাজের মাধ্যমে কষ্ট দেওয়া হয়ে থাকে। কথার মাধ্যমে কষ্ট দেওয়া বলতে গালি দেওয়া, গিবত-তোহমত, চোগলখুরি করা, খোটা দেওয়া, তুচ্ছ জ্ঞান করা ইত্যাদি বোঝায়। আর কাজের মাধ্যমে কষ্ট দেওয়া বলতে জুলুম করা, ধোঁকা-প্রতারণা, রাস্তা বন্ধ করা, সম্পদ জবরদখল করা, হত্যা করা ইত্যাদি বুঝায়।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

জু’মআর নামাযঃ  ফযিলত ও গুরুত্ব

মাওলানা সাইফুল ইসলামশি,ক্ষক: মাদরাসাতুল হিকমাহ,ঢাকা: ২৪ ফিট, রসূলবাগ, কদমতলী, ঢাকা   একজন ব্যক্তি ঈমান আনার ...