সর্বশেষ সংবাদ
Home / অপরাধ / রামুতে শাশুড়িকে হত্যার পর ৬  টুকরা ,পরিবারের  সন্দেহ পরকীয়া 

রামুতে শাশুড়িকে হত্যার পর ৬  টুকরা ,পরিবারের  সন্দেহ পরকীয়া 

মোঃআমানউল্লাহ, কক্সবাজার: কক্সবাজারের রামু উপজেলার  মিঠাছড়ি ইউনিয়নে  শাশুড়িকে  হত্যার পর ৬ টুকরা করে মাটিচাপা দেওয়ার ঘটনার আটক পুত্রবধু রাশেদা বেগমকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকান্ডের শিকার মমতাজ বেগমের পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসীর অভিযোগ রাশেদা বেগম একা এ ঘটনা সংগঠিত করেনি। এ ঘটনার পেছনে আরো কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে।

এমনকি রাশেদা বেগমের পরকীয়ার জের ধরে এ ঘটনা সংগঠিত হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না। গত সোমবার(১৮জুলাই) সকালে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন কক্সবাজার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসানুজ্জামান পিপিএম। এদিকে ময়না তদন্ত শেষে সোমবার বিকালে মমতাজ বেগমের জানাযা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে।

রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ারুল হোসাইন জানিয়েছেন- এ ঘটনায় এখনো মামলা দায়ের হয়নি। নিহতের দাফন শেষে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে সেটি মামলা হিসেবে রুজু করা হবে। তিনি আরো জানান, পুলিশ পুরো ঘটনা নিবিড়ভাবে তদন্ত করে ঘটনার মূল রহস্য উন্মোচনের চেষ্টা চালাচ্ছে। এ ঘটনায় আরো কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।নিহত মমতাজ বেগমের ছেলে আলমগীর জানিয়েছেন, মায়ের এমন লোমহর্ষক মৃত্যুতে তার পরিবারের সদস্যরা এখনো হতবিহবল। ময়নাতদন্ত, জানাযা ও দাফনের জন্য এখনো তিনি মামলা করতে পারেননি। তবে পুলিশের সাথে যোগাযোগ রয়েছে এবং মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আমির হামজা জানিয়েছেন, মমতাজ বেগমকে হত্যার পর মাথা, দুই পা ও দুই বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এরপর বাড়ির আঙিনায় গর্ত করে মৃতদেহ মাটিচাপা দেয়া হয়েছে। যেখানে মাটিচাপা দেয়া হয়েছে সেখানে ছোট-বড় অনেকগুলো গাছের শিকড় ছিলো। দেখা গেছে, সেই গাছের শিকড়গুলো অভিজ্ঞ লোকজন দ্বারা করাত দিয়ে কাটা হয়েছে।

এতগুলো কাজ নিখুঁতভাবে করা রাশেদা বেগমের একার পক্ষে অসম্ভব। তাই মমতাজ বেগমের পরিবারের সদস্যরা   এ হত্যাকান্ডে রাশেদা বেগম ছাড়াও আরো এক বা একাধিক ব্যক্তি জড়িত থাকতে পারে।

নিহত মমতাজ বেগমের ২ মেয়ে আয়েশা বেগম ও খুরশিদা বেগম জানিয়েছেন, রাশেদা বেগম গোপনে মোবাইল ফোন ব্যবহার করতেন। এমনকি কয়েকবার গর্ভধারনের পরও ভ্রুন নষ্ট করে ফেলেন। তাদের সন্দেহ  রাশেদা বেগম পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন এবং পরকীয়ার জের ধরে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়েছে। মায়ের মৃতদেহ উদ্ধারের আগেরদিন ওই বাড়িতে বোরকা পরিহিত কয়েকজন ব্যক্তি এসেছিলেন বলেও জানান তারা। হয়তো ওই চক্রটিকে ব্যবহার করে রাশেদা বেগম তাদের মা মমতাজ বেগমকে নির্মমভাবে হত্যা করে মৃতদেহ মাটিচাপা দিয়েছেন।নিহত মমতাজ বেগমের ছেলে আলমগীর জানিয়েছেন, মায়ের এমন লোমহর্ষক মৃত্যুতে তার পরিবারের সদস্যরা এখনো হতবিহবল।সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে  এই লোমহর্ষক ঘটনার সাথে যারা জড়িত  তাদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ।

About admin

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

*

x

Check Also

চট্টগ্রামে কাজির দেউরিতে রেস্টুরেন্টের সাড়ে ৫ লাখ টাকা চুরির ঘটনায়.কর্মচারী আটক

  চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের নগরীর কাজীর দেউরির ১টি রেস্টুরেন্ট থেকে ৫ লাখ ...