সফিক ইসলাম,পাবনা: ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার পাশাপাশি বাবাকে কৃষি কাজে সহায়তা করাই ছিল রাকিবের নেশা।
বাবার অল্প কিছু জমি নিয়ে বাবা চাষাবাদে ব্যস্ত থাকেন সর্ব সময়। বাবার ফসল উৎপাদন দেখে পাবনা সদর উপজেলার কৃষি অফিস সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিতেন অনেক সময়ই।
আর এটা দেখে রাকিবের চাষাবাদ করার আগ্রহ জন্ম নেয়। বাবা শীতকালীন গ্রীষ্মকালীন সকল শস্য উৎপাদনে পাবনা সদর উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তা নেন। আর কিছু কর্মকর্তাদের সহায়তার ধরণ দেখে রাকিবের মন জুড়িয়ে যায়। ছোটবেলা থেকেই নতুন নতুন কিছু উদ্ভাবন তাকে ভেতরে ভেতরে অনুপ্রাণিত করে ।
বাবার কৃষিকাজকে সামনে রেখে, কৃষি অফিসের নতুন কোন প্রকল্প আসলেই রাকিব ঝাঁপিয়ে পড়ে। মনে মনে সংকল্প করেন না আমি এটা করবোই। এভাবেই লেখাপড়া চালিয়ে যেতে থাকে পাশাপাশি বাবা কে সহায়তা করতে থাকে, মনে মনে চিন্তা করতে থাকে কৃষিতে নতুন বিপ্লব ঘটাবো। এসএসসি পাস করার পর থেকেই তার ভেতরে নতুন উদ্দিপনা সৃষ্টি হয়।
নতুন কিছু করতে চাই নতুন কোন ভাবনা নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় উপজেলা কৃষি অফিসের অনেক প্রদর্শনী তার কাছে আসে এবং সে সফল ভাবে প্রদর্শনী গুলো সম্পন্ন করে। নতুন কিছু আবিষ্কারের মধ্যেই চলে আসে পলিনেট হাউজ প্রদর্শনীটি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সাহানা পারভীন লাবনী এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসমা আহমেদের অনুপ্রেরণা এবং সহযোগিতা পলিনেট হাউজ প্রদর্শনী টি শুরু করেন। পলিনেট হাউজের মধ্যে ক্যাপসিকাম সহ অন্যান্য শীতকালীন লাভজনক ফসল উৎপাদন হওয়ার কথা।
কিন্তু হাতে অনেক খানি সময়ও রয়ে গেছে। এ সময়ের মধ্যে উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসমা আহমেদ মাঠ ফাঁকা না রাখার জন্য পরামর্শ দেন।এই সময় রাকিবের অক্লান্ত পরিশ্রমে তৈরি হয় পালংশাকের চাষ । সুখের মুখ দেখতে বেশি সময় লাগে না। আল্লাহ পাকের সহায়তায় মাঠ ভরপুর পালং শাক অনেক সুন্দরভাবেই উৎপাদন হয়। লাভের পরিমাণ অন্য ফসলের তুলনায় বেশি।
এ তো বললাম একটা প্রকল্পের কথা। এরকম আরো অনেক প্রদর্শনী করে এবং অন্যান্য জমিতে প্রযুক্তির ব্যবহার ও পরিশ্রম করে আজ স্বাবলম্বী রাকিব। রাকিব ধান গম সরিষা গ্রীষ্মকালীন টমেটো তরমুজ চাষ করে অনেক লাভবান হয়েছেন। পাশাপাশি রাকিব ভার্মি কম্পোস্ট উৎপাদন করেও অনেক লাভবান হয়েছেন ।রাকিব বলেন আমি নতুন একটি প্রযুক্তির সাথে যুক্ত আছি যেটাতে লেবার কস্ট অনেক কম।
প্রযুক্তিটির নাম হচ্ছে পলিথিন মালচিং এটি ব্যবহারের মাধ্যমে চাষাবাদ করলে জমিতে আগাছা জন্মায় না ফলে লেবার খরচ অনেক কম হয়। রাকিব আরো বলেন কৃষি কর্মকর্তা এবং উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আসমা আহমেদের দিকনির্দেশনায় আমার এ সফলতা। আমি উনাদের কাছে কৃতজ্ঞ।