যশোরের চৌগাছায় এক যুবককে অপহরণের পর মুক্তিপণের টাকা নিতে গিয়ে মারুফ (২৭) নামে আরেক যুবক পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। শুক্রবার রাতে চৌগাছা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অপহরণ, চাঁদাবাজি ও মাদকসহ ৮টি মামলা আছে।
আটক মারুফ চৌগাছা পৌরসভার চাঁদপুর এলাকার আতিয়ার রহমানের ছেলে।
চৌগাছা থানার ওসি রিফাত খান রাজীব জানান, শরিফুল নামে এক যুবককে অপহরণ ও চাঁদাবাজির মামলায় মারুফকে গ্রেফতার করে শনিবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
থানা পুলিশ ও ভিকটিমের স্বজনরা জানান, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে চৌগাছা সদর ইউনিয়নের দিঘলসিংহা গ্রামের মৃত ফয়েজ আহম্মেদের ছেলে শরিফুল ইসলামকে (২২) অপহরণ করে নিয়ে যায় মারুফসহ আসামিরা। তাকে আটকে রেখে এক লাখ ২০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
এ ঘটনায় ভিকটিমের মা ছবেদা খাতুন চৌগাছা থানায় গিয়ে ওসিকে বিস্তারিত বলেন। রাতেই তিনি মারুফসহ চারজনের নামে মামলা করেন। মামলা রেকর্ড হওয়ার পরই পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার ও অভিযুক্তদের গ্রেফতারে তৎপর হন। পুলিশের পরামর্শ অনুযায়ী ছবেদা খাতুন এসময় অপহরণকারী মারুফের ফোনে কথাবার্তা চালিয়ে যেতে থাকেন।
পুলিশের পাতানো ফাঁদ অনুযায়ী ছবেদা খাতুন অপহরণকারী মারুফকে চৌগাছা বাজারের জমজম মিষ্টান্ন ভাণ্ডার দোকানের সামনে টাকা নিতে আসতে বলেন। শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মারুফ টাকা নিতে সেখানে পৌঁছালে সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা পুলিশের দলটি তাকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতার হওয়া মারুফ যশোর গোয়েন্দা পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে চৌগাছাসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত আটটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।